সমাধান কোন পথে? নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক যেদিন ভেস্তে গেল, সেদিনই ফের ‘বিনা চিকিত্সা’য় রোগীর মৃত্যু! আবার সেই আরজি করেই।
জানা দিয়েছে, মৃতের নাম নন্দ বিশ্বাস। বাড়ি, নদীয়ার গিলা পোল এলাকায়। গত মঙ্গল জ্বর নিয়ে আরজি করে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তেমনভাবে কোনও পরিষেবা পাননি বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকেদের দাবি, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই অবস্থার অবনতি হয় ওই যুবকের। মল-মূত্র বন্ধ হয়ে যায়। এমনকী, গ্যাজলা বেরোতে শুরু করে মুখ থেকে! বহুবার খোঁজ করে কোনও নার্স বা চিকিত্সকের খোঁজ মেলেনি। দীর্ঘক্ষণ বিনা চিকিত্সায় পড়ে থাকার পর, শেষপর্যন্ত মৃত্যু হয় নন্দের।
পরিবারের লোকেদের কথায়, ‘আমরা গরিব মানুষ। বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। সরকারি হাসপাতালগুলো যদি পরিষেবা না দেয় তাহলে আমরা কোথায় যাব! আমার ছেলেটাকে ওরা বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলল’। দাবি, ‘আরজি করের চিকিৎসকেরা সাফ জানান, আপনারা জানেন এখানে চিকিৎসা হচ্ছে না, গন্ডগোল চলছে, তাহলে কেন রোগীকে নিয়ে এসেছেন’?
এর আগে, আরজি করেই ‘বিনা চিকিত্সা’য় মৃত্যু হয়েছিল কোন্নগরের যুবক বিক্রম ভট্টাচার্য। হুগলির কোন্নগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ওই যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় শ্রীরামপুরের হাসপাতালে। সেখান থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। অভিযোগ, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে আরজি করে বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয় বছর আটাশের ওই যুবকের।