কলকাতা, ৩০ জুন (হি স)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতোই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছিল কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল। বুধবার শুনানিতে আদালতে কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবীর দাবি, আদালত অবমাননা করেছে রাজ্য। পাশাপাশি ভোট-পরবর্তী হিংসা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিল সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল।
রাজ্যে ভোট পরবর্তী অশান্তি মামলায় বুধবার হাইকোর্টের শুনানিতে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘যাদবপুরে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে তদন্তে গিয়েছে বাধার মুখে পড়েন কমিশনের সদস্যরা। তাঁদের উপর হামলা হয়। এটা আদালত অবমাননার সামিল’।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের পাল্টা সওয়াল, ‘কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। কমিশনের সদস্যদের প্রয়োজনমতো সবকিছুরই ব্যবস্থা করেছে সরকার’। শুনানিতে উত্থাপন করলেও ওই বিষয়টি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে কি না তা অবশ্য জানা যায়নি।
হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ জানিয়েছে, এই রিপোর্ট এখনই প্রচার করা হবে না। ২ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন আরও বিস্তারিত রিপোর্ট পেলে তবেই তার ভিত্তিতে পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া হবে।
রাজ্যে ভোটপরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আগেই একটি মামলা হয়। সেই মামলার ভিত্তিতে এন্টালি বিধানসভা এলাকার বহু ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের ফেরায় পুলিশ। হাইকোর্টের তরফে তখনই, ঘরছাড়াদের ফেরাতে ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত। ওই কমিটিতে জাতীয় ও রাজ্য মানবাধিকার কমিশন, রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সদস্যরা শামিল ছিলেন। সরাসরি যাতে ওই কমিটির কাছে অভিযোগ পৌঁছয়, তার জন্য একটি ইমেল আইডি-ও চালু করা হয়। সূত্রের খবর, তাতে সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ২৪৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
সেই মামলার পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। রাজ্যের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে গত ১৮ জুন কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি দল বা কমিটি গঠন করবে। তারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে হিংসার রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করবে। কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্টে কী উঠে এল ৩০ জুনের মধ্যে তা আদালতে জমা দিতে হবে। সেইমতো এদিন রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন।
হিন্দুস্থান সমাচার/ অশোক