বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা। উদ্ধারকাজ শেষ করে মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছে রেল। রবিবার সকাল পর্যন্ত সেই কাজ কত দূর এগোল, রেলের তরফেই তা জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেল রবিবার সকালে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, বালেশ্বরের দুর্ঘটনাস্থলে মেরামতির কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের কামরাগুলি লাইনের উপর থেকে সরানো গিয়েছে। কামরা মেরামতির কাজ চলছে। সেই সঙ্গে সমান্তরালেই চলছে রেললাইন সারানোর কাজও।
রেল জানিয়েছে, শালিমার-করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যে ২১টি কামরা লাইনচ্যুত হয়েছিল বা লাইনের উপর আটকে ছিল, সেগুলি আপাতত সরানো হয়েছে। ভেঙে যাওয়া কামরার অংশবিশেষ, যন্ত্রপাতি, চাকা ইত্যাদি এখন দুর্ঘটনাস্থল থেকে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে কাজ করছে রেলের তিনটি মালগাড়ি এবং ক্রেন। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব এলাকা পরিষ্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে ওই এলাকার রেললাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। সেই লাইন সংযোগের কাজও চলছে জোরকদমে। রেল সূত্রে খবর, অন্তত একটি লাইনে যাতে দ্রুত ট্রেন চালানো যায়, সেই ব্যবস্থা করছে রেল।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ হাওড়ার অদূরে শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। প্রায় চার ঘণ্টা পরে ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি। তা লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িকে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়। করমণ্ডলের একাধিক কামরা ছিটকে গড়িয়ে যায় পাশের লাইনে। সেই সময় পাশের ডাউন লাইনে আসছিল বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেরও দু’টি কামরা বেলাইন হয়।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। আহত ৮০০-র বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে রেল। এ ছাড়া, গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ টাকা এবং অপেক্ষাকৃত কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।