ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হচ্ছে! ছোট পোশাকে নিষেধাজ্ঞা, পুরীর মন্দিরে চালু হতে চলেছে পোশাক বিধি

 এবার পুরীর মন্দিরে ও চালু হতে চলেছে পোশাক বিধি‌। সমুদ্র সৈকতে হাফ প্যান্ট, ছেঁড়া জিন্স, শর্ট স্কার্ট, স্লিভলেস পোশাক পড়ে ঘোরাঘুরি করলেও জগন্নাথের মন্দিরে কখনোই ওই পোশাক পরে যাওয়া যাবে না। কারণ মন্দির বিনোদনের জায়গা নয়। এই ধরনের অশালীন পোশাকের কারণে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয় বলেই দাবি করেছেন পুরীর মন্দির কর্তৃপক্ষ।

তাদের অভিযোগ, অনেকেই মন্দিরের উপযোগী পোশাক পরছেন না। যার ফলে এই নতুন পোশাক বিধি তারা আনতে চলেছেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন ধরনের পোশাক পরে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না তা স্পষ্ট করা হচ্ছে। পুরীর মন্দিরের প্রশাসনিক প্রধান রঞ্জন কুমার দাস জানিয়েছেন, ২০২৪ অর্থাৎ আগামী বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি থেকেই দর্শনার্থীদের পোশাক নিয়ে নতুন নিয়ম জারি হয়ে যাবে। কড়া ভাবে সেই নিয়ম যাতে পালিত হয় তা নিশ্চিত করবেন মন্দির কর্তৃপক্ষ।

হাত কাটা জামা, হাফ প্যান্ট, ছেঁড়া জিন্স পরে মন্দিরে আসা যাবে না। এই ধরনের পোশাক ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করে, এমন পোশাক নিষিদ্ধ করা হবে পুরীর মন্দিরে। রঞ্জন দাস বলেছেন, “মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য। আজকাল অনেকেই মন্দিরে আসেন ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা না ভেবেই। হাফ প্যান্ট, হাত কাটা জামা পরে অনেককে মন্দিরে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। তাদের দেখে মনে হচ্ছে তারা যেন সমুদ্রের ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, বা কোনো পার্কে বেড়াচ্ছেন, কোনো মন্দিরে নয়।” তাঁর কথায়, মন্দির কোনো বিনোদনের জায়গা নয়।

মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে পোশাক বিধি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। মন্দিরের সিংহ দ্বারে ও ভিতরে নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকবেন। তারাই দর্শনার্থীদের পোশাকের উপর নজর রাখবেন। কেউ আপত্তিকর পোশাক পরে এলে তাদের মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পোশাক নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করবেন কর্তৃপক্ষ।

উত্তর ও দক্ষিণের একাধিক মন্দিরে গত কয়েক মাসে পোশাক বিধি চালু হতে দেখা গেছে। প্রতি ক্ষেত্রেই ধর্মীয় ভাবাবেগ এবং মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষায় জোর দিয়ে ছোট পোশাক পরতে নিষেধ করা হয়েছে। এবার পুরীর মন্দিরও সেই পথে হাঁটতে চলেছে।

তবে পুরীর মন্দিরে শুধু পোশাক নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে এমনটা নয়। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে হিন্দু ব্যতীত অন্য কোনো ধর্মের মানুষের প্রবেশের অধিকার নেই। মন্দিরের সিংহ দ্বারের কাছে ছোট পাথরে পাঁচটি ভাষায় তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা রয়েছে। কঠোরভাবে এই নিয়ম মেনে চলা হয় মন্দিরে। নিয়ম এতটাই কড়া যে রাজনীতিবিদ, ত্রীড়াবিদ, অভিনেতা, রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য তা লঙ্ঘিত হয় না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.