তোশাখানা মামলায় ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রীকে স্বস্তি ইসলামাবাদ হাই কোর্টের, সাজায় স্থগিতাদেশ

তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবিকে স্বস্তি দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। গত ৩১ জানুয়ারি সে দেশের দুর্নীতি দমন পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত বিশেষ আদালত ইমরান এবং বুশরার ১৪ বছরের জেলের সাজা দিয়েছিল। সোমবার সেই সাজা কার্যকরের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট।

১৪ বছরের জেলের পাশাপাশি পাক বিশেষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ইমরান বা তাঁর স্ত্রী, কেউই আগামী ১০ বছরের জন্য কোনও সরকারি পদে বসতে পারবেন না। পাশাপাশি, পাকিস্তানি মুদ্রায় তাঁদের প্রায় ৭৯ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। উল্লেখ্য, পাক সরকারের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে ৩০ জানুয়ারি পাকিস্তানের বিশেষ আদালত ইমরানকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল। এর এক দিন পরেই আবার ১৪ বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়।

তোষাখানা মামলার সূত্রপাত ২০২২-এর এপ্রিলে ইমরান ক্ষমতা হারানোর পরে। দুবাইয়ের এক ব্যবসায়ী দাবি করেন, বিদেশ থেকে ইমরানের উপহার পাওয়া ঘড়ি তিনি ২০ লক্ষ ডলারে কিনে নিয়েছিলেন। ওই ব্যবসায়ী জানান, ২০১৯ সালে যখন ইমরানের দল পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতায় ছিল, তখন সৌদি আরবের রাজা মহম্মদ বিন সলমন তাঁকে ওই বহুমূল্য ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন। গত ৫ অগস্ট ইসলামাবাদের বিশেষ আদালত তোশাখানা মামলায় ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের জেলের শাস্তি ঘোষণার পরই গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছিল তাঁকে।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের কাছ থেকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা অন্য মন্ত্রীরা যা উপহার পান, তা সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। তবে ১০ হাজার টাকার কম মূল্যের উপহার হলে প্রধানমন্ত্রী তা নিজের কাছে রাখতে পারেন। তার বেশি মূল্যের কোনও উপহার তাঁর পছন্দ হলে তা বাজার-মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা করে সেই উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন। কিন্তু পাক ক্রিকেটার-রাজনীতিক সেই আইন মানেননি বলে অভিযোগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.