রিলায়েন্স জিও ইনফোকম গত ১৭ই মে ঘোষণা করেছিল যে সংস্থাটি ভারতের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক আন্তঃসাগরীয় কেবল্ সিস্টেম তৈরি করতে চলেছে। ভারতে ডেটার ক্রমবর্ধমান চাহিদার জোগান দেওয়ার জন্য রিলায়েন্স জিও পরবর্তী দুটি প্রজন্মের কেবল স্থাপন করবে। প্রকল্পটির সাথে যুক্ত রয়েছেন বেশ কয়েকটি গ্লোবাল প্লেয়ার এবং সাবকম, যারা জলের তলায় কেবলের তার সরবরাহে অন্যতম।
ভারত-এশিয়া-এক্সপ্রেস (আইএএক্স) এবং ভারত-ইউরোপ-এক্সপ্রেস (আইইএক্স) এই দুটি কেবল প্রকল্প ভারতকে সিঙ্গাপুরের সাথে এবং ভারতকে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপের সাথে সংযুক্ত করবে। ভারত পূর্বে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার সাথে সংযুক্ত হবে এবং পশ্চিমে মিশর, জিবুতি এবং সৌদি আরবের মতো দেশগুলির সাথে সংযোগ স্থাপনের পরেও এই ধারা জারি থাকবে ইতালি পর্যন্ত। এই দুই কেবল পরিষেবা আন্তঃসংযোগ স্থাপন করবে এবং গুরুত্বপূর্ণ গ্লোবাল ডেটা ইন্ট্রিএক্সচেঞ্জ পয়েন্টগুলির সাথে সংযুক্ত হবে।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, “আইএএক্স এবং আইইএক্স গ্ৰাহক এবং উদ্যোক্তাদের ভারতে এবং ভারতের বাইরে কনটেন্ট এবং ক্লাউড পরিষেবা অ্যাক্সেস করার ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলবে।”
“ফাইবার অপটিক সাবমেরিন টেলিযোগাযোগের ইতিহাসে এই প্রথমবারের জন্য আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক মানচিত্রে ভারতকে মধ্যমনি বানানো হয়েছে। যারফলে স্বীকৃতি পাবে ভারতের বর্ধিত গুরুত্ব, বিস্ময়কর বৃদ্ধি এবং ডেটা ব্যবহারের কোয়ান্টাম শিফট যার সূচনা হয়েছিল ২০১৬ সালে জিও পরিষেবা চালুর মধ্য দিয়ে”— একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
দুটি কেবল সিস্টেম চালু থাকবে ১৬,০০০ কিলোমিটার জুড়ে এবং এইসব অঞ্চলে উচ্চ-ক্ষমতাসম্পন্ন এবং উচ্চ-গতির পরিষেবা সরবরাহ করা হবে। আইএএক্স এবং আইএএক্স ২০০ টিপিবিএস’-এরও বেশি ক্ষমতা সরবরাহ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
“ডিজিটাল পরিষেবা এবং ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে তার মূল কারিগর হ’ল রিলায়েন্স জিও। ভারতে সর্বপ্রথম স্ট্রিমিং ভিডিও, রিমোট ওয়ার্কফোর্স, ৫জি, এবং আরও অন্যান্য অত্যাধুনিক বিকাশের ক্ষেত্রে পৌরহিত্য করছে জিও, ভারতকেন্দ্রিক আইএএক্স এবং আইইএক্স সাবসী সিস্টেম”—রিলায়েন্স জিও’র প্রেসিডেন্ট ম্যাথিউ ওমেন বলেছেন।
তিনি আরও বলেন “বিশ্বব্যাপী মহামারীর ছায়ায় এই দুরূহ উদ্যোগগুলি কার্যকর করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকা মহামারী আরও দ্রুততর করেছে ডিজিটাল রূপান্তরকে এবং উদ্যোক্তা ও গ্রাহকদের আরও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য উচ্চ-কর্মক্ষমতাসম্পন্ন বিশ্বব্যাপী সংযোগের প্রয়োজনীয়তাকে”।