করোনার বিধিনিষেধ খানিকটা শিথিল করে বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতার রাস্তায় নেমেছে বাস। আর সেদিনই ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হল মহানগরের রাজপথ। মেটিয়াব্রুজ-হাওড়া মিনি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকে বলছেন, রেলিং ভেঙে পাঁচিলে ধাক্কা মারে বাসটি।
দুর্ঘটনার সময়ে বাসে অন্তত ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। আহত হয়েছেন এদের মধ্যে অন্তত ১৯ জন। আহতদের তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে কলকাতা রিজার্ভ পুলিশের এক কর্মী বিবেকানন্দ দাবের। বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।
মৃত ওই পুলিশকর্মী ঝাড়গ্রামের শালবনির বাসিন্দা। তিনি কলকাতায় একটি মেস ভাড়া করে থাকতেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিবেকানন্দ দাবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। তাঁর বয়স ৩৯। হাওড়ায় একটি মেস ভাড়া করে থাকতেন তিনি।
বাইকের নম্বরপ্লেট থেকে আরোহী সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পায় পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই জানিয়েছেন, বাইকটি বাসের তলায় ঢুকে যায়। বাসের বেপরোয়া গতির জন্যই প্রাণ হারালেন কলকাতা পুলিশের ওই কর্মী। বাসটির ভেতরের অংশ রক্তে ভেসে গিয়েছে। একটিও চেয়ার আর আস্ত নেই।
দুর্ঘটনার পরই সেখানে পৌঁছয় কলকাতা পুলিশের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ টিম। কী কারণে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে সেই টিম। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বেপরোয়া গতিতে ছিল বাসটি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাইক আরোহীকে ধাক্কা মারে সেই বাস। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র।
দুর্ঘটনার তীব্রতায় রাস্তার ধারের একটি রেলিং সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় তিনটি ক্রেন। সেই ক্রেন দিয়েই বাসটিকে সরানো হয়। নিয়ে যাওয়া হয় একটি অ্যাম্বুল্যান্সও। তাতে করেই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। এই দুর্ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ যানজট হয় রেড রোডে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে পুলিশ। ছবি: সৌরজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়।