করোনা মহামারী শুরু হতেই দেশে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল। পিপিই কিট থেকে শুরু করে অনেক সামগ্রী আমদানি করতে পাধ্য হয়েছিল ভারত। এদিকে বিশ্বের ‘সাপ্লাই চেন’ ভেঙে যাওয়ায় বহু প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ভারতকে। পাশাপাশি গালওয়ান সংঘর্ষের পর চিনা পণ্যের উপর নির্ভরতা কমাতে চেয়েছিল কেন্দ্র। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের ব্যবসায়ীদের এই বিপর্যয়ের মধ্যে সুযোগ খোঁজার আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনে সাড়াও দেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। চলতি অর্থবছরে ভারত রেকর্ড পরিমাণ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা নিষেধাজ্ঞা উঠতেই বিশ্ব বাজারে বিভিন্ন পণ্যে চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে এবং ভারত এর সম্পূর্ণ সুবিধা নিয়েছে।
বিগত অর্থবর্ষে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় ৪৬ মিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। প্রতিদিন ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। প্রতি মাসে গড়ে ৩৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করেছে দেশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতের রফতানির পরিমাণ ছিল ২৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সেখানে ২০২১-২২ সালে ভারতের রফতানি ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
তবে এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্র। ২০০টি দেশের জন্য রফতানির ভিন্ন লক্ষ্য স্থির করে এগিয়েছিল ভারত। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের সব বিভাগ সমন্বয় করে কাজ করে। নতুন এবং উদীয়মান ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল। এমনসব পণ্যের বাজারগুলিতে ভারতের নজর ছিল যেখানে অন্যান্য দেশ নিজেদের প্রভাব হারিয়েছে। রফতানিকারকদের সমস্যা দ্রুত সমাধানের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল সরকারের তরফে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং স্টার্টআপগুলি যাতে রফতানি করতে পারে তার জন্যও বিশেষ ছক কষা হয়েছিল। রফতানিজাত পণ্যগুলি আরও বেশি রাজ্য এবং জেলা থেকে নির্বাচন করে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল।
ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, পেট্রোলিয়াম পণ্য, রত্ন এবং গহনা, জৈব এবং অজৈব রাসায়নিক, ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যগুলি রফতানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি রফতানি করেছে সেগুলি হল – আমেরিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, চিন, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস।