পুনঃনির্বাচনও চললো ছাপ্পা। নির্বাচনী প্রহসনের আরেক ছবি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের দীঘরা মালিক বেরিয়া সলেমানপুরের ৭৩ নম্বর বুথের পুনঃনির্বাচনকে ঘিরে। শনিবার একাধিক বুথে অশান্তির কারণে রাজ্যের ৬৯৬ এর বেশি আসনে পুনঃনির্বাচন ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেখানেও দেখা গেল তৃণমূলের এক কর্মী দেদার ছাপ্পা দিচ্ছে।
পুনঃনির্বাচনের দিন অশোকনগর এলাকার দীঘরা মালিক বেরিয়া সলেমানপুরের ৭৩ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুললো বিজেপি। এক ব্যক্তি দিচ্ছেন একাধিক ভোট, কিন্তু সেটা হচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবেই, এমনই ছবি দেখা গেল অশোকনগরে। এই ভোটকেন্দ্রের বাইরে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, ভেতরে রয়েছে রাজ্য পুলিশ, তা সত্ত্বেও পুনঃনির্বাচনের দিন চলছে এই ছাপ্পা ভোট বলে অভিযোগ। শনিবার রাজ্যের একাধিক জেলার বুথে পঞ্চায়েত নির্বাচন চলাকালীন ছাপ্পা দেওয়া, ব্যালট লুঠের অভিযোগ ওঠে। সমস্ত ভোট প্রক্রিয়া স্ক্রুটিনি করে সোমবার সকাল থেকে রাজ্যে ৬৯৬টি বুথে পুনঃনির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই মতো অশোকনগর বিধানসভা কেন্দ্রের দীঘরা মালিক বেরিয়া সলেমানপুর ৭৩ নম্বর বুথে পুনর্নির্বাচন চলছে সকাল থেকেই। তবে পুনঃনির্বাচন চলাকালীন এদিন কোনও অশান্তির চিত্র চোখে পড়েনি ওই বুথে। স্থানীয় বাসিন্দারা শান্তিপূর্ণ ভাবে বুথে লাইন দিয়ে ভোট দান করেছেন। তার মধ্যেই দেখা যায় এক অন্য চিত্র। বুথের ভেতরেই এক ব্যক্তি অবাধে ছাপ্পা দিয়ে চলেছেন। কোনও বাধা ছাড়াই কার্যত শান্তিপূর্ণ ভাবে তিনি একাধিক ভোট দান করে চলেছেন। এই চিত্র প্রকাশ্যে আসার পরেই শুরু হয়ে যায় তরজা।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকাল আটটা থেকে ভোটের ফলাফল প্রকাশিত হতে চলেছে বলে জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গোটা রাজ্যের সমস্ত জেলা পরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। অশান্তির আবহের মধ্যেও এবারের ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলকে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা থেকে শেষ হাসি হাসবে কে? তবে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও এরকম ধরনের ছাপ্পা, ভোট চুরির ঘটনায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। এরকমভাবে নির্বাচনকে প্রহসন করার মানে কী? তা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে সাধারণ ভোটারদের একাংশের মধ্যেও।