পুরীর রথের উৎসবে সামিল হতে পারতেন না তৎকালীন দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষজন। আর সেই কারণে তাঁদের রথযাত্রার আনন্দ দিতে জেলার অন্যতম জমিদার রাজবল্লভ রায়চৌধুরীর হাত ধরে রথযাত্রার সূচনা হয় বারুইপুরের জমিদার রায়চৌধুরীদের বাড়িতে।
লর্ড কর্ণওয়ালিসের আমলে জমিদারির পত্তন হয় রায় চৌধুরীদের। আর সেই থেকেই এখানে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ পালিত হয়। আর সবকিছুর মধ্যে অন্যতম রায় চৌধুরীদের এই রথ।
রথ উপলক্ষ্যে দূর দুরান্ত থেকে মানুষের সমাগম হয় বারুইপুর রাসমাঠে। রথযাত্রা উপলক্ষ্যে মেলাও বসে। প্রায় একমাস ধরে চলে এই রথের মেলা। পুরীর রথের সমস্ত নিয়ম মেনেই বারুইপুরে রায়চৌধুরীদের রথযাত্রা পালিত হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ আসেন একবার রথের দড়িতে টান দিতে। তিনশো বছরের বেশি সময় ধরে এই রথ চলে আসলেও সাধারণ মানুষের উতসাহে এতটুকু ভাঁটা পড়েনি। এখনও ব্রিটিশ আমলের লোহার শিকল দিয়ে রথ টানা হয়। শাল কাঠ দিয়ে তৈরি একই রথে চেপে বছরের পর বছর রায়চৌধুরীদের নাট মন্দির থেকে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা রওনা দেন মাসির বাড়িতে।