বছর এগারোর নাবালিকা ছাত্রীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আনলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি। এমনই অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পরেই গৃহশিক্ষককে বেধড়ক মারধর করেন পাড়া-পড়শিরা। এলাকায় উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শেঠ কলোনির ফুলতলা এলাকায় ওই গৃহশিক্ষকের বাড়ি। তাঁর বাড়িতেই পড়তে আসত প্রতিবেশী ছেলেমেয়েরা। তাদের মধ্যেই পঞ্চম শ্রেণির নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে রঘুনাথ রায়ের বিরুদ্ধে। নাবালিকার পরিবারের দাবি, মেয়ের বাড়ি আসতে দেরি হওয়ায় রঘুনাথের বাড়িতে গিয়েছিলেন তার বাবা। সেখানে গিয়ে সব ঘটনা জানতে পারেন তিনি। মেয়েই বাবাকে জানায়, বেশ কিছু দিন ধরে তাকে ধর্ষণ করছেন গৃহশিক্ষক। ধর্ষণের কথা প্রকাশ্যে আনলে মেরে ফেলার হুমকিও দিতেন তিনি। সেই ভয়েই এত দিন বাড়িতে কিছু জানায়নি সে। মেয়ের মুখে সব শোনার পরেই প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন নাবালিকার বাবা।
পড়শিরা জানান, এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াতেই উত্তেজিত জনতা রঘুনাথকে মারধর করে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে গৃহশিক্ষককে আটক করে কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রঘুনাথের বাবা রতন রায় বলেন, ‘‘ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। ছেলে দোষী সাব্যস্ত হলে ওঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’