বৃক্ষছেদন বন্ধ করে পরিবেশকে রক্ষা করুন। পশু-পাখি, জীবজন্তু এবং শিশুদের এ পৃথিবীতে বাসযোগ্য করে তুলুন। এই বার্তা দিতেই এবার বীরভূমের হাটতলা সর্বজনীন প্রাকৃতিক সম্পদ দিয়ে গড়ে তুলেছে মণ্ডপ। তাদের ভাবনায় বৃক্ষছেদন যদি কিছুটা বন্ধ করা যায় তাহলেই সার্থক হবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
বীরভূমের রামপুরহাট হাটতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসব এই বছর ৭০ বর্ষে পদার্পণ করল। বরাবর নিত্যনতুন ভাবনায় গড়ে ওঠে তাদের ভাবনা। এবারের ভাবনায় ফুটে উঠেছে বাংলার চালচিত্র। সাবেকি মাতৃ প্রতিমার চালিতে ফুটে উঠেছে বাঁকুড়ার টেরাকোটার শিল্প কর্ম। পাশাপাশি পুরো মন্ডপ সুসজ্জিত হয়েছে বাংলার কুটির শিল্পের নানান সামগ্রী দিয়ে। মূলত হোগলা পাতার সাহায্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলার কুটির শিল্পের বিভিন্ন ভাবধারাকে। প্রতিবছর হাটতলা সর্বজনীনের পুজোয় মানুষ নতুন কিছু উপহার হিসেবে পেয়ে থাকে। এবারও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। ২৪ ফুট উঁচু মাতৃ প্রতিমা নজর কাড়বে দর্শনার্থীদের। মায়ের মৃন্ময়ী রূপ দেখার জন্য শহর থেকে শহরাঞ্চল প্রত্যেক জেলার মানুষের ভিড় উপচে পড়বে হাটতলা সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপে। পুজোয় নিজেদের তৈরি করা আবহ সঙ্গীত বেজে চলেছে মণ্ডপে।
পুজো উদ্যোক্তা প্রশান্ত রায় বলেন, “মণ্ডপ গড়া হয়েছে হোগলা পাতা দিয়ে। কুটির শিল্পের বিভিন্ন ধারা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। মণ্ডপের ভিতর গাছের শিকড়, ডাল, পাতা, পাটকাঠি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। মূলত বৃক্ষ ছেদন রোধের বার্তা দিতেই এই ভাবনা। আমাদের ভাবনা যদি সমাজের কিছুটা উপকারে লাগে তাহলেই আমরা খুশি হব”।