Ramkrishna Mission: মমতা ও মা সারদাকে নিয়ে নির্মল-মন্তব্য বিবৃতি জারি করে খণ্ডন করল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন

তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির দাবি বিবৃতি জারি করে খণ্ডন করল রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নির্মলের বক্তব্যে সারদাদেবীর মর্যাদাহানি হয়েছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ বৃহস্পতিবার একটি ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পুনর্জন্মে মা সারদা বলে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন এবং এর ফলে অগনিত মানুষের আবেগে আঘাত লেগেছে। তবে ওই ভিডিয়োতে নির্মলের নাম করা হয়নি। তাঁর উল্লেখ করা হয়েছে ‘এক রাজনৈতিক নেতা’ হিসেবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে (আনন্দবাজার অনলাইন সেটির সত্যতা যাচাই করেনি), নির্মল বলছেন, ‘‘মা সারদা মৃত্যুর কিছু দিন আগে স্বামী বিবেকানন্দের সতীর্থ সন্ন্যাসীদের বলেছিলেন, আমি কালীঘাট মন্দিরে যাই। হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে দিদি যেখানে থাকেন, সেই রাস্তা দিয়ে তিনি যেতেন। মা সারদা বলেছিলেন, মৃত্যুর এত দিন পরে কালীঘাটের কালীক্ষেত্রে মানুষ রূপে জন্ম নেব। ত্যাগ, তিতিক্ষা, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যাব। সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে মা সারদার মৃত্যুর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মের সময়টা সেই অঙ্ক মিলিয়ে দিচ্ছে।’’

কোথা থেকে নির্মল ওই তথ্য পেলেন, সেই প্রশ্ন তুলে স্বামী সুবীরনন্দ আরও বলেন, ‘‘আমাদের দীর্ঘ সাধুজীবনে শ্রীশ্রী মায়ের সংস্পর্শে আসা সন্ন্যাসী এবং গৃহী ভক্তদের সান্নিধ্যে আমরা এসেছি। তাঁদের কারও মুখে আমরা ওই কথা শুনিনি।’’

নির্মল আরও বলেন, ‘‘তিনিই (মমতা) মা সারদা, তিনিই ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, সিস্টার নিবেদিতা, খড়ের দুর্গা। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে তাঁর জন্ম। তাই মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু সবেতেই তিনি পাশে রয়েছেন।’’

নির্মলের নাম না-করলেও তাঁর ওই বক্তব্যের উল্লেখ করে স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, ‘‘আমরা যথেষ্ট উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সম্প্রতি কোনও এক রাজনৈতিক নেতা প্রকাশ্য বক্তৃতায় বলেছেন যে, শ্রীশ্রী দেবী সারদা মা না কি দেহত্যাগের আগে রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজদের বলে গিয়েছেন, তিনি এর পরে মানবীরূপে দক্ষিণ কলকাতায় আবির্ভূত হবেন এবং তখন তিনি ত্যাগ, তিতিক্ষা, সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাবেন। শ্রীশ্রী মা সারদাদেবী সম্পর্কে রামকৃষ্ণ মঠ এবং রামকৃষ্ণ মিশন এবং অন্যান্য প্রকাশন সংস্থা থেকে যে কয়েকটি প্রামানিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে তার কোনওটিতেই এই তথ্য নেই।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.