অযোধ্যার আকাশে আজ যেন নতুন করে দীপ জ্বলে উঠেছে। কারণ শ্রী রামমন্দিরের চূড়ায় আবারও উড়তে শুরু করেছে সেই প্রাচীন ধর্ম–ধ্বজা, যেটি একসময় ত্রেতা যুগের আয়ুধ ও অহংকারের প্রতীক ছিল।
*“स एष हि महा कायः कोविदारध्वजो रथे”*— অযোধ্যাকাণ্ডের সেই শ্লোক যেন আজ জীবন্ত হয়ে উঠেছে, কারণ ভরতের রথের শোভা বাড়ানো যে কোভিদার–ধ্বজ, সেই একই ঐতিহ্য আজ ফিরে এসেছে শ্রী রামমন্দিরের শিখরে। এই ধ্বজার বুকে খোদাই করা হয়েছে এক পবিত্র বৃক্ষের প্রতিকৃতি— কোভিদার; কথিত আছে, ঋষি কাশ্যপ পারিজাত ও মন্দারের দিব্য সংকর রূপে এই কোভিদার বৃক্ষকে সৃষ্টি করেছিলেন, তাই এটি এক সঙ্গে ধর্ম, পবিত্রতা, প্রাচীন জ্ঞান আর সমৃদ্ধির দীপশিখা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ধর্মধ্বজায় জ্বলজ্বল করছে তিনটি দিব্য প্রতীক— সূর্য, ওঁ এবং কোভিদার বৃক্ষ; সূর্য স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে শ্রীরামের অমর সূর্যবংশকে, ওঁ চিহ্ন ব্রহ্মের সর্বব্যাপী সত্তাকে ধারণ করছে, আর কোভিদার জানিয়ে দিচ্ছে যে অযোধ্যার প্রাচীন রাজধ্বজা আজ আবার নিজ গৃহে ফিরে এসেছে।

