রামমন্দির উদ্বোধন লোকসভা নির্বাচনের বিজেপির প্রচারের হাতিয়ার বলে দাবি করে সেই অনুষ্ঠান বয়কট করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী দল। কিন্তু এর পাল্টায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেছেন, রামের সাথে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। মন্দির আন্দোলনে বিজেপি জড়িয়ে থাকলেও কোনো কৃতিত্ব দাবি করে না। কিন্তু মন্দির কারা তৈরি করেছে সেটা মানুষ জানে।
রাজনৈতিক ভোট প্রচারের জন্যই রাম মন্দিরের উদ্বোধন। বারবার এই ইস্যুটি তুলেই সোচ্চার হয়েছেন বিরোধীরা। সেই কারণেই তারা রামমন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেননি। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বললেন, “রাজনীতির সাথে রামের কোনো যোগাযোগ নেই। রাম আমাদের সকলের আরাধ্য এবং এটাও ঠিক যে যখন আন্দোলন হয়েছিল তখন বিজেপি তাতে অংশগ্রহণ করেছিল তাতে বিজেপির কোনো আক্ষেপ নেই। আবার এর জন্য আলাদা করে কোনো কৃতিত্বও দাবি করছে না বিজেপি, কিন্তু মানুষ জানে কাদের জন্য রাম মন্দির হয়েছে। আমাদের বিরোধীদের যদি মনে হয় বিজেপি এতে রাজনীতি করছে তারা তাহলে এটাতে অংশগ্রহণ করতে পারতেন।”
সুকান্ত মজুমদার বলেন, অযোধ্যায় দেখা গেল কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতা এই অনুষ্ঠানকে বয়কট করলেও দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় সারির নেতারা অযোধ্যায় চলে গেছেন। এমনকি কংগ্রেসের অন্যতম মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া নিজের এলাকার রাম মন্দিরে ওই দিন গেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি জানিয়েছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরেও খুব তাড়াতাড়ি তিনি যাবেন।
অযোধ্যায় রামমন্দিরে সীতাকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। সীতার প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রকে নারী বিরোধী বলে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনো বাঙালি, কখনো নারী, এই সমস্ত বিষয় তুলে মানুষকে উস্কানোর চেষ্টা করেন। সেই নারীদের কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনে পড়ে কি? যারা এই প্রবল ঠান্ডাতেও রাস্তার পাশে চাকরির দাবিতে বসে আছে। সেই সব সীতার কথা আগে ভাবুন উনি, যাদের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও বনবাসে পাঠিয়েছেন, চাকরিটা চুরি করেছেন। আগে তাদের কথা ভাবুন, তারপর রামচন্দ্রের সীতার কথা ভাববেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন মা দুর্গাকে নারীশক্তি হিসেবে তুলে বলেন, বাঙলায় মা দুর্গার আরাধনা হয়। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মা দুর্গা আমাদের সকলের আরাধ্য। কিন্তু উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দুর্গা ঠাকুরকে কি আরাধ্য মনে করেন? আজকাল কার্নিভাল চালু করেছেন। উনি মা দুর্গার কাছে যেতে পারবেন না। উনি বসে থাকবেন এবং মা দুর্গা ওনার সামনে দিয়ে নাচতে নাচতে যাবেন এটা কী ধরনের দুর্গা বন্দনা ?”
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের জন্মদিনে জাতীয় ছুটি দেওয়ার দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার তাকে মনে করান, সুভাষচন্দ্র বোস একসময় কলকাতা কর্পোরেশনের মহানাগরিক ছিলেন। আজ ফিরহাদ হাকিম সাহেব সেই কলকাতা কর্পোরেশনেরই মহানাগরিক, পার্থক্য একটাই, একজন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে পড়েছিলেন, একজন প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন।