রাজীব সিনহা যেদিন থেকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পেয়েছেন এই সরকারের তাবেদারি করছেন, খড়গপুরে বললেন দিলীপ ঘোষ।
রাজীব সিনহা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। এরপর কড়া নির্দেশ দেন তিনি। রাজ্যপাল বলেন, আদালতের নির্দেশ কার্যকর না করলে পদ ছেড়ে দিক, সেক্ষেত্রে নতুন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করা হবে। এবার এই প্রসঙ্গ নিয়ে কড়া মন্তব্য করলেন দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুর শহরের বোগদা এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে চা চক্রে যোগ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এবিষয়ে কড়া মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় ভোট করানোর মতো মানসিকতা ও যোগ্যতা নেই এই নির্বাচন কমিশনের। নতুন নির্বাচন কমিশনার যেদিন থেকে এই দায়িত্ব পেয়েছেন সেদিন থেকেই সরকারের তাবেদারি করছেন। একবারও তিনি মনে করেননি নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে নির্বাচন কমিশনের তো সুবিধা হতো।
উনি দ্বিতীয় দিন থেকেই সিদ্ধান্ত নিলেন মনোনয়ন জমা নেওয়ার, আর সেই দিন থেকেই শুরু হলো গন্ডগোল। এই পরিপ্রেক্ষিতে তার কাছ থেকে কোনো কড়া পদক্ষেপ আমরা লক্ষ্য করিনি। আর মনোনয়ন পর্বে ৮-৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তার কোনো সক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ হয়ে কাজ করছেন নির্বাচন কমিশন। তাই এই নির্বাচন কমিশনার যদি দায়িত্বে থাকেন তাহলে এবার ভোটে বহু মানুষের প্রাণহানি হতে পারে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও এখনো কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারলো না কমিশন।
যদিও এই প্রসঙ্গ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে এখনো সেই বার্তা এসে পৌঁছায়নি। এই বিষয় নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সব কিছু নিয়ে বিরোধিতা করছেন শুধু টাকা বাদ দিয়ে, আর ঠিক নির্বাচন কমিশন সেটাই করছেন। উনি জানেন না ওনার দায়িত্ব কতটা, ওনার সাধারণ মানুষকে দেখানো উচিত যে আমি রয়েছি আপনারা ভোট দিতে আসুন, উনি সেই বার্তাটা মানুষকে দিতে পারছেন না। তার জন্যই উনি একজন ব্যর্থ কমিশনার। উনি থাকলে ভোট হবে না।
অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে জেলায় জেলায় ঘুরবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। সেই সম্বন্ধে দিলীপ ঘোষ বলেন, উনাদের সঙ্গে শুধু পুলিশ রয়েছে সাধারণ মানুষ নেই।