রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতের আবহের মধ্যেই পরামর্শদাতা নিয়োগের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই প্রশ্ন তুলে রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে তিনি পরামর্শদাতা নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠালেন। গত নভেম্বরে রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে পরামর্শদাতা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তারপরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারকে কর্মসংস্থান নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। এবার পরামর্শদাতা নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠানোর ফলে নতুন করে সংঘাত তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
মঙ্গলবার টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘বিভিন্ন জায়গা থেকে পরামর্শদাতা নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ উঠে আসছে। তাই পরামর্শদাতা নিয়োগে বিস্তারিত বিবরণ জানতে চেয়ে মুখ্য সচিবের কাছে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছি’।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ নভেম্বর ৫০ জন পরামর্শদাতা নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ২ বছরের চুক্তির ভিত্তিতে পরামর্শদাতা নিয়োগ করা হবে। পরবর্তীকালে অবশ্য তাদের কাজের ভিত্তিতে সেই মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে।
সিনিয়র পরামর্শদাতা এবং পরামর্শদাতা এই দুটি ক্যাটেগরিতে নিয়োগ করা হবে। যার মধ্যে সিনিয়ার পরামর্শদাতাদের মাসে দু লক্ষ টাকা এবং পরামর্শদাতাদের মাসে দেড় লক্ষ টাকা বেতন দেওয়া হবে। মূলত রাজ্য সরকারের বহু প্রকল্পের নজরদারির জন্যই এই পরামর্শদাতা নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নবান্ন।
নবান্ন থেকে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করার পরেই শাসক দলকে আক্রমণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ‘চাকরির জন্য বাংলার শিক্ষিত যুবকদের বাইরে চলে যেতে হচ্ছে। অথচ এমন লোকদের সরকার পরামর্শদাতা নিয়োগ করছে যারা ইতিমধ্যেই বেসরকারি সংস্থায় রয়েছেন বা সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাংলার যুবকদের অবদমিত করা হচ্ছে’ বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন।