বড়দিনের চেনা শীত উধাও। উল্টে টিপ টিপ করে দু’-এক পশলা বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে মাঝেমধ্যেই। সকাল থেকে আকাশের মুখভার। দেখলে জুলাই বা অগস্ট মাসের আকাশ বলে ভ্রম হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, পৌষের এই মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা। তারই পরোক্ষ প্রভাবে বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণে। বৃষ্টি হতে পারে সপ্তাহান্তেও।
মঙ্গলবার রাত থেকেই কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হয়েছে বুধবার বড়দিনেও। কলকাতা ছাড়াও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে। এ ছাড়া, আগামী শনিবার ও রবিবার পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে বৃষ্টি হতে পারে। এই সব জেলাতেই অতি সামান্য থেকে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আপাতত নেই।
বৃহস্পতি এবং শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে মোটের উপর শুকনো আবহাওয়া থাকবে। তবে প্রতি দিনই হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। সকালের দিকে কুয়াশার কারণে যাতায়াতে সমস্যা হতে পারে। কমতে পারে দৃশ্যমানতা। আগামী তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি কমতে পারে। তার পরের দু’-এক দিনে আবার পারদ হবে ঊর্ধ্বমুখী। ফলে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনা এখনই দেখা যাচ্ছে না।
উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় আপাতত শুক্রবার পর্যন্ত শুকনো আবহাওয়া থাকবে। শনি ও রবিবার বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে। দার্জিলিঙে তুষারপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে আগামী কয়েক দিন। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমে আবার বৃদ্ধি পেতে পারে উত্তরবঙ্গেও।
বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৫ ডিগ্রি বেশি। মঙ্গলবার শহরের তাপমাত্রা সবচেয়ে বেশি হয়েছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ০.৪ ডিগ্রি বেশি।