গত বছরের প্রথম কোয়ার্টারেই ইঙ্গিত ছিল আর চতুর্থ কোয়ার্টারে সেই ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়েছিল। জার্মানির অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল নেগেটিভ গ্রোথের ছায়া। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। নেগেটিভ গ্রোথ ডেকে নিয়ে এল অর্থনৈতিক মন্দা। কেননা, আমেরিকার ডলারের তুলনায় ইউরোর দাম কমল। বৃহস্পতিবারই এই খবর মিলল। বিশ্বের চতুর্থ এবং ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি জার্মানি। এবার সেখানেও আর্থিক মন্দার ছায়া। এই পরিস্থিতিতে সেখানে নতুন করে কর্মী ছাঁটাই শুরুর আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
‘এএএ’ রেটিং হল একটা নেগেটিভ রেটিং। আমেরিকার আর্থিক রেটিং সংক্রান্ত সংস্থা ‘ফিচ’ জানিয়েছে– জার্মানির সরকারকে এই ‘এএএ’ রেটিংযুক্ত সংস্থাগুলির আরও ঋণ পাওয়ার পথ প্রশস্ত করতে হবে। তা না করলে মন্দার আঁচ তীব্র হতে পারে। যাইহোক, আপাতত বোঝা যাচ্ছে, জার্মানির বহু শিল্প এবং কর্পোরেট সংস্থাই ফের ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারে।
গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিম ইউরোপে তার মিত্র-দেশগুলি। এর জবাবে পুতিনের সরকার ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ ‘নিয়ন্ত্রণে’র কথা ঘোষণা করেছিল। তার পর থেকেই ডলারের তুলনায় ইউরোর দর পড়তে শুরু করে। তবে শুধু ইউরো নয়, ইয়েন-সহ বিশ্বের ৬টি গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার দাম গত সপ্তাহে ডলারের তুলনায় কমেছে বলে জানা গিয়েছে।
দনেৎস্ক ব্যাংকের আর্থিক পরিস্থিতি গবেষণা সংক্রান্ত আধিকারিকও পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, ২০২২ সালের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে নেতিবাচক বৃদ্ধির পর থেকেই ধীরে ধীরে মন্দার প্রভাব বাড়ছে জার্মানিতে।