‘অশনি’ আছড়ে পড়ার আগেই টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছে কলকাতার বহু এলাকা। পর্ণশ্রী, সায়েন্সসিটি, সেক্টর ফাইভ, পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট প্রভৃতি এলাকায় জল জমতে দেখা গিয়েছে। প্লাস্টিকের কারণেই শহরের রাস্তা এভাবে জলমগ্ন হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর। অনেকেই চিপস খেয়ে রাস্তায় প্যাকেট ফেলে দিচ্ছেন, আবার অনেকেই প্লাস্টিক ফেলে দিচ্ছেন নর্দমায় যার ফলে নিকাশি নালা থেকে শুরু করে নর্দমায় আটকে যাচ্ছে প্লাস্টিক। ফলে জল বের হতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। আর এর ফলে জল জমে দুর্ভোগ বাড়ছে কলকাতা বাসের।
শুধু নালা, নর্দমায় নয় পাম্পেও আটকে যাচ্ছে প্লাস্টিক। এর ফলে খারাপ হচ্ছে পাম্প। স্বাভাবিকভাবেই জল বের করতে গিয়ে বেগ পেতে হচ্ছে পুরকর্মীদের। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃষ্টিতে জল বাইরে বের করে দেওয়ার জন্য বালিগঞ্জ ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশনের পাম্পে প্লাস্টিক জড়িয়ে যাচ্ছে এবং বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে সেই প্লাস্টিক পরিষ্কার করে আবার চালু করা হচ্ছে। ‘অশনি’র জেরে রাজ্যে তিনদিন ধরে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। সেই কারণে শহরে জল জমা রুখতে ইতিমধ্যেই সবকটা পাম্পিং স্টেশন অ্যালার্ট রেখেছে কলকাতা পুরসভা। এ বিষয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘খুব বেশি বৃষ্টি হলে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে জল নেমে যাবে।
পাম্পিং স্টেশনগুলির পাশাপাশি খালও পরিষ্কার করেছে সেচ দফতর। বালিগঞ্জ পাম্পিং স্টেশন থেকে জল তিলজলা খালে এসে জল পড়ে। সেই জন্য সেচ দফতর তৎপরতার সঙ্গে সেই খাল পরিষ্কার করেছে। তবে প্লাস্টিক জমে থাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রসঙ্গত, জল জমা রুখতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করেছে কলকাতা হাওড়া পুরসভা। বিগত বছরগুলি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার হাওড়া পুরসভায় প্লাস্টিকের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্লাস্টিক ব্যবহারের জন্য ৫০ থেকে ৫০০ টাকা জরিমানা ঠিক করা হয়েছে। যার ফলে সম্প্রতি হাওড়া পুরসভায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমেছে। এখন কলকাতা পুরসভাও এই উদ্যোগ নেয় কিনা তাই দেখার।