প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গে দূরপাল্লার ট্রেনে যাচ্ছেন। টিকিট বুকিংয়ের সময় প্রথমেই লোয়ার বার্থ পাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের জন্য লোয়ার বার্থ চাইলেও সবসময় যে সেই আসনই টিকিট মিলবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। অনেকেই সেই কারণ বুঝতে পারেন না। এবার ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন (আইআরসিটিসি) জানাল, কীভাবে প্রবীণ নাগরিকদের লোয়ার বার্থ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি টুইটারে এক নেটিজেন প্রশ্ন করেন, কীভাবে প্রবীণ নাগরিকদের দূরপাল্লার ট্রেনে লোয়ার বার্থ দেওয়া হয়। সেই টুইটে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণকেও ট্যাগ করেন। ওই নেটিজেন লেখেন, ‘কোন যুক্তির ভিত্তিতে আপনারা (ভারতীয় রেল) আসন বণ্টন করে থাকেন। আমি তিনজন প্রবীণ নাগরিকের টিকিট কেটেছিলাম। অগ্রাধিকার হিসেবে লোয়ার বার্থ দিয়েছিলাম। ১০২ টি বার্থ ফাঁকা ছিল। তাও আমায় দেওয়া হয় মিডল, আপার এবং সাইড লোয়ার বার্থ। এই (আসন বণ্টনের প্রক্রিয়াটি) ঠিক করা উচিত আপনাদের।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সেই টুইটের জবাবে আইআরসিটিসির তরফে বলা হয়, ‘লোয়ার বার্থ বা প্রবীণ নাগরিকদের বার্থের কোটা শুধুমাত্র ৬০ বছর ও তার ঊর্ধ্বে পুরুষ বা মহিলা ৪৫ বছর ও তার ঊর্ধ্বে মহিলাদের প্রদান করা হয়। (একই টিকিটে) একা বা দু’জন যাত্রী যাওয়ার সময় সেই মাপকাঠি আছে। যদি দু’জনের বেশি প্রবীণ নাগরিক হন বা একজন প্রবীণ নাগরিক ও একজন প্রবীণ নাগরিক না হন, তাহলে সেই প্রক্রিয়া কাজ করবে না।
এমনিতে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গত বছর প্রবীণ নাগরিক-সহ বিভিন্ন শ্রেণির আওতাভুক্ত কনসেশনাল টিকিট দেওয়া বন্ধ রেখেছিল ভারতীয় রেল। সেইসময় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অপ্রয়োজনীয় যাতায়াতে রাশ টানতেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।