ছয় জোড়া বাতিল অথবা স্টপেজ তুলে নেওয়া ট্রেন পুনরায় চালু করতে হবে। জামালপুর সুপার, তেভাগা, কুলিক, কাঞ্চনকন্যা, উত্তরবঙ্গ, গয়া এক্সপ্রেস এবং যোগবানি এক্সপ্রেসের স্টপেজ দিতে হবে। লোকাল ট্রেনকে এক্সপ্রেস ট্রেনের তকমা দিয়ে দিগুন ভাড়া নেওয়া চলবে না। এরকম একাধিক দাবিতে বীরভূমের মুরারইয়ে সকাল ৭ থেকে রেল অবরোধ করলেন মুরারইয়ের মানুষ। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অবরোধ চলার পর স্থানীয় বিধায়ক এবং রেলের আধিকারিকদের আলোচনার পর অবরোধ উঠে যায়।
রবিবার ১৬ দফা দাবিতে মুরারই স্টেশনে রেললাইনের উপর বসে বিক্ষোভ দেখায় নিত্যযাত্রীদের সংগঠন মুরারই নাগরিক কমিটির। অবরোধের জেরে সকাল থেকেই বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে আটকে পড়ে বন্দেভারত সহ বহু দূরপাল্লা ট্রেন। মুরারই স্টেশনে আটকে যায় সাহেবগঞ্জ-রামপুরহাট প্যাসেঞ্জার, কাঞ্চনজঙ্ঘা, গণদেবতা। রামপুরহাট স্টেশন থেকে আজিমগঞ্জ এক্সপ্রেস ছাড়ে এক ঘণ্টা পর। অবরোধের ফলে দুপুর পর্যন্ত ট্রেন চলাচল ব্যহত হয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, এক ঘন্টা অন্তর আপ ও ডাউনে মেমু ট্রেন চালু করতে হবে। আপ ট্রেন এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করানোর বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে, অফিস সময়ে সিউড়ি পর্যন্ত ট্রেন দিতে হবে। এদিনের রেল অবরোধের ফলে স্টেশন চত্বরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এক সময় তৃণমূল নেত্রী ফাল্গুনী সিনহা কন্ট্রোল প্যানেল অপারেটরদের কেবিন থেকে বের করে দেন। দুপুর ১২টা নাগাদ সমস্যার সমাধান হয়।
মুরারই নাগরিক মঞ্চের সভাপতি মহম্মদ আতাউর রহমান বলেন, “প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে ফের অবরোধের রাস্তায় হাঁটবো”। অবরোধের জেরে অশান্তি এড়াতে স্টেশনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। এদিন রেল অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।