প্রকাশ্যে দিবালোকে এক মহিলা চিকিত্সকের ‘শ্লীলতাহানি’! ছবি-সহ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। কিন্তু অভিযুক্ত এখনও অধরা। কেন? পুলিসের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরজিকরের পর এবার রায়গঞ্জ।
জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিত্সক নির্যাতিতা তরুণী। তাঁর অভিযোগ, ‘একমাস আগে যখন আমি হাসপাতালে আসছিলাম ডিউটি করতে, হাসপাতালের সামনেই একজন আমার সামনে জবরদস্তি বা কিছুটা করার চেষ্টা করেছিল। ছাতা ছিল। ছাতা দিয়ে মেরে ভাগিয়ে দিয়েছিলাম। ভয় পেয়ছিলা, খোলা জায়গা ছিল, রাস্তায় ঘটেছিল, তাই হয়তো পালিয়ে গিয়েছিল’।
এদিকে আরজি করে তরুণী চিকিত্সকের ধর্ষণের করে খুনের অভিযোগে তোলপাড় চলছে রাজ্যে। রায়গঞ্জের ওই চিকিত্সকের কথায়, ‘সেই মেয়েটার মতো, যে আমার বোন হবে, জুনিয়র হবে, তার মতো যদি আমার অবস্থা হত..কে আসত! কেউ তো কিছু করতেই পারত না’। যে হাসপাতালে যাওয়ার পথে এই ঘটনা, সেই হাসপাতালের কর্ণধারে দাবি, ‘ঘটনার সময়ে সিসিটিভি ফুটেজ বলব না। একটি নীল জামা পরা ছেলে, সাইকেল নিয়ে. সেই ছবি আমরা থানায় জমা দিয়েছিলাম। তারপরেও কিন্তু দুষ্কৃতীরা অধরা’।
এর আগে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার স্টেট জেনারেল কর্তব্যরত মহিলা চিকিত্সককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। নাম, সুশান্ত রায়। ভাতার থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত তিনি। অভিযোগ, গভীর রাতে মত্ত অবস্থায় ওই মহিলা চিকিত্সকের কাছে চিকিত্সা করাতে যান। হুমকি দেন, ‘আরজি করে কী হয়েছেন, জানেন তো’?