বড়দিনের উৎসবের আবহে ভাসতে চলেছে সারা বিশ্ব। আর মাত্র ২ দিন বাদেই ২৫ শে ডিসেম্বর। কথিত আছে এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন যিশুখ্রিস্ট। তাই প্রতি বছর এই দিনটিতে উৎসবে মেতে ওঠেন আপামর মানুষ। দিনটিকে বড়দিন হিসেবে পালন করা হয়।
বিদেশের পাশাপাশি এদেশেও দিনটিকে জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করেন সকলেই। একই ছবি দেখা যায় রায়গঞ্জ শহরে। রায়গঞ্জের ছটপড়ুয়া এলাকায় অবস্থিত সেন্ট যোসেফ ক্যাথিড্রাল চার্চ। রায়গঞ্জের মানুষের কাছে এই গির্জাটিই বড়দিন উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। প্রতিবছর দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর মানুষ এখানে আসেন। নিজ নিজ বাড়িতে ব্যক্তিগত ভাবে ক্রিস মাস সেলিব্রেট করলেও এই গির্জায় একবার ঢু না মারলে উৎসবের ষোলকলা অপূর্ণই থেকে যায়। তাই প্রতিবছরের মত এবারেও সেজে উঠছে সেন্ট যোসেফ গীর্জা।
সাফাই করা হচ্ছে মূল ফটক থেকে গোটা ভবন। রঙীন আলোরও ব্যবস্থা করা হবে। বিভিন্ন জায়গায় তৈরী হচ্ছে টেন্ট। নতুন সাজে সাজানো হচ্ছে প্রার্থনা গৃহ। প্রতিবছর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। এই চার্চের ফাদার সান্দাপ্পান বলেন, প্রতিবারের মত ২৪ শে ডিসেম্বর রাতে হবে উৎসবের সূচনা। রাতে প্রার্থনা করে কেক কাটা হবে। আনন্দে মাতবেন সকলেই। ২৫ তারিখ সকালেও প্রার্থনা হবে। সকলের জন্য খুলে দেওয়া হবে দ্বার। মানুষ এসে প্রভুর কাছে প্রার্থনা জানাবেন। প্রভু যীশুর বানী ছড়িয়ে দেওয়া হবে সকলের মধ্যে।
তবে বর্তমানে আবারও নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে করো না। বাড়ছে উদ্বেগ। এই পরিস্থিতিতে বাড়তি সর্তকতা অবলম্বন করেছে চার্চ কর্তৃপক্ষ। সরকারি নির্দেশিকার দিকেও নজর থাকছে বলে জানান ফাদার। সব মিলিয়ে উদ্বেগের মাঝেও উৎসব ঘিরে প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন রায়গঞ্জের মানুষ।