আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধরনায় বসেছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়-সোহিনী সরকার-সহ বিশিষ্টরা। রাত দশটা নাগাদ আচমকা সেই ধরনামঞ্চে চড়াও মত্ত যুবক। আন্দোলনরত এক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে থাকা প্রতিবাদীরা তাঁকে ধরে ফেলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ধর্মতলা চত্বরে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, যে জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভ করছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, বিদীপ্তা চক্রবর্তীরা সেখানে আচমকাই ঢুকে পড়েন ওই মত্ত যুবক। অভিযোগ, মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করেন তিনি। এর পরেই পুলিস এসে সেই যুবকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। প্রথম তাঁকে একটি পুলিস কিয়স্কে নিয়ে গিয়ে বসানো হয়। পরে পুলিসের ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতীয় ন্যায়ে সংহিতার ৭৪ ধারা, অর্থাৎ শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের হয় এই মত্ত যুবকের বিরুদ্ধে। এরপরেই তাকে গ্রেফতার করে হেয়ার থানার পুলিস।
পুলিসের তরফে জানানো হয় যে মত্ত ওই যুবক কলেজ স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ অবধি ব়্যালিতে হাঁটে। তার নাম তাপস পাল, সে টালিগঞ্জের বাসিন্দা। অভিযোগকারিনীর দাবি, ওই ব্যক্তি তাঁকে আপত্তিজনকভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করে। এরপরেই আন্দোলনকারীরা তাকে ধরে পুলিসের হাতে তুলে দেয়। তাকে গ্রেফতার করে পুলিস। সোমবার আদালতে তোলা হবে ওই ব্যক্তিকে।
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিচার চেয়ে কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। মিছিল শুরু হয় দুপুর ৩টেয়। ধর্মতলায় মিছিল শেষ হওয়ার হওয়ার পরে বেশ কয়েকটি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। এরপরেই মিছিলের উদ্যোক্তারা ভোর ৪টে পর্যন্ত রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে অবস্থান চলার কথা জানান। সেখানেই অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা। তার পর থেকে সেখানে ধর্না অবস্থান চলছে। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে ধর্না অবস্থানে বসেছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, দেবলীনা দত্ত সহ আরও অনেকেই। সেখানেই ঘটে গেল শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা।