আরজিকর কাণ্ড নিয়ে টানা জেরা করা হয়েছে ধৃত সঞ্জয় রায়কে। কিন্তু তার কথার মধ্যে অসংগতি রয়েছে। বিষয়টি পরিস্কার করার জন্য পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চেয়েছিল সিবিআই। এর জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আজ পলিগ্রাফ টেস্ট হচ্ছে সঞ্জয় রায়ের। পাশাপাশি আরও ২ ডাক্তারের পলিগ্রাফ টেস্ট হচ্ছে আজ। গতকাল পলিগ্রাফ টেস্ট হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ, ২ ডাক্তার ও এক সিভিক ভল্যান্টিয়ারের।
সঞ্জয় রায়কে রাখা হয়েছে প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই তার পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু হয়েছে সঞ্জয়ের। আজ যে দুজন ডাক্তারের পলিগ্রাফ টেস্ট হচ্ছে সেই দুজন ঘটনার রাতে চিকিত্সকের সঙ্গে ডিনার করেছিল। গতকালই আদালত বলেছিলে আজ ও আগামিকালকের মধ্যে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট করতে হবে। সেই নির্দেশ মতো আজ পলিগ্রাফ টেস্ট হচ্ছে সঞ্জয়ের। গতকালই সিবিআইয়ের একটি টিম প্রেসিডেন্সি জেলে যায় সেখানে গিয়ে তারা জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে। একটি আইসোলেশন রুমের বন্দবস্ত করতে অনুরোধ করে। সেইমতো আজ সিবিআইয়ের একটি টিম পলিগ্রাফ টেস্টের জন্য জেলে পৌঁছে যায়। আজ ওই তিনজনের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়ে গেলে মোট ৭ জনের পলিগ্রাফ টেস্ট শেষ হয়ে যাবে।
রবিরার সাড়ে বারোটা নাগাদ পলিগ্রাফ টেস্ট শুরু হয়ে যায় প্রেসিডেন্সি জেলে। গ্রেফতারের পর কলকাতা পুলিসের হেফাজতে ছিল সঞ্জয়। তার পর তার হেফাজত নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার জেরায় যেসব উত্তর সঞ্জয় দিয়েছে তাতে সিবিআইয়ের মনে হয়েছে সঞ্জয়ের পলিগ্রাফ টেস্ট হওয়া প্রয়োজন। সেই কারণেই শিয়ালদহ আদালতে গিয়ে এনিয়ে আবেদন করে সিবিআই।
এদিকে, আজ আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। এদিনও তাঁর সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেওয়ার কথা কিন্তু তার আগেই সকাল সাড়ে ৬টায় নিজাম প্যালেস থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি বেরিয়ে পোর্টের গেস্ট হাউসে (এক্সাইড) যায়। তারপর সেখান থেকে প্রথম টিম গেস্টহাউস থেকে বেরিয়ে শিয়ালদহ হয়ে পৌঁছায় বেলেঘাটা মেনরোডে আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সিবিআই টিম পৌঁছায় সন্দীপ ঘোষের বাড়ি।
১ ঘণ্টারও বেশি সময় বাড়ির বাইরে অপেক্ষা করতে হয় সিবিআই টিমকে। প্রায় ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে সিবিআই টিম। বারংবার কলিং বেল বাজালেও কেউ দরজা খোলেনি। বাড়ির বাইরে ধীরে ধীরে জমতে থাকে স্থানীয়দের ভিড়। সিবিআই-এর সঙ্গে শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, ছিল পুলিসও। দীর্ঘ ৪৫ মিনিটের অপেক্ষার পর সিবিআই টিমের এক সদস্য রওনা দেন বেলেঘাটা থানার উদ্দেশ্যে। বাকিরা অপেক্ষা করেন সন্দীপ ঘোষের বাড়ির বাইরে।