দেহে একাধিক আঘাত চিহ্ন! শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল তরুণী চিকিত্সককে। প্রমাণ মিলেছে ‘যৌন হেনস্থা’রও। আরজি কর কাণ্ডে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জি ২৪ ঘণ্টার হাতে।
ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ, নিহত চিকিত্সকের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। মাথা, গাল, ঠোঁট, নাক, চোয়াল, চিবুক, গলায় ক্ষতচিহ্ন মিলেছে। শরীরের বেশ কিছু জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে গিয়েছিল। যৌনাঙ্গেও যে জোরপূ্র্বক কিছু প্রবেশ করানো হয়েছিল, সেকথাও উল্লেখ করা হয়েছিল ময়নাতদন্ত রিপোর্টে। তবে হাড় ভাঙার কোনও উল্লেখ নেই রিপোর্টে।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে প্রাক্তন অধ্য়ক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁকে জেরা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রতিদিন টানা ১৩ ঘণ্টা ধরে চলছে জেরা পর্ব। এবার আরও বিপাকে সেই সন্দীপ। ২০২১ সাল থেকে আরজি করে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে এবার দেখতে সিট করল রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর। ৩ আইপিএস অফিসারকে নিয়ে সিট গঠন। ১ মাসের মধ্য়ে রিপোর্ট দিতে হবে।
প্রায় ২ সপ্তাহ পার। গত ৯ অগস্ট সকালে আরজি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হলে পাওয়া গিয়েছিলে এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ। কীভাবে মৃত্যু? ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে। তবে তাঁকে জেরা করে এখনও পর্যন্ত কোনও নতুন তথ্য মেলেনি। আদালতে পলিগ্রাফ টেস্টের আবেদন জানিয়েছেন সিবিআই। আগামীকাল, মঙ্গলবার মামলাটির শুনানি।
পলিগ্রাফ টেস্টের পরিচিত নাম লাই-ডিটেক্টর টেস্ট। রাসায়নিক প্রয়োগ করে অভিযুক্তকে জেরা করা হয়। ওই জেরার সময় অভিযুক্তের রক্তচাপ, পালস রেট, হার্ট বিটের কতটা পরিবর্তন হচ্ছে তা লক্ষ্য করা হয়। কেউ মিথ্য়ে বললে তার হৃদস্পন্দন,রক্তচাপে বদল হয়। সেই হেরফের লক্ষ্য করে আন্দাজ করা হয় অভিযুক্ত সত্যি বা মিথ্যে বলেছে কিনা। তবে চাইলেই কোনও অভিযুক্তের পলিগ্রাফ টেস্ট করা যায় না। এর জন্য লাগে অভিযুক্তের সম্মতি ও আদালতের অনুমতি।