R G Kar: ‘সাপ্লাই হল কী করে, আমরা অর্ডারই করিনি’! আরজি কর গ্লাভস কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য….

নেপথ্য কি তবে অন্তর্ঘাত? অর্ডার না দেওয়া সত্ত্বেও কোথা থেকে ‘রক্তমাখা’ গ্লাভস এল আরজি করে? খোদ মেডিক্যাল সুপারের দাবি, ‘অর্ডার দেওয়া গ্লাভসের ব্যাচ নম্বরে কোনও মিল নেই। উদ্ধার হওয়া গ্লাভসের ব্যাচ নম্বর পুরোপুরি আলাদা’। তৈরি করা হল তদন্ত কমিটি।

ঘটনাটি ঠিক কী? আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ তখন সন্দীপ ঘোষ। গ্লাভসের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি যখন সেই গ্লাভস যখন হাসপাতালে পৌঁছয়, তখন দেখা যায়, রবারের গ্লাভসে লাল দাগ! অভিযোগ ওঠে, গ্লাভসে ওই দাগ রক্তের। আর সেই গ্লাভস ব্যবহার করেই নাকি আরজি কর হাসপাতালের ট্রমা কেয়ারে রোগীর পরিষেবা দিতে হবে! জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি,এই গ্লাভস থেকে এইচআইভি, হেপাটাইটিসের মতো রোগ ছড়াতে পারে! 

আরজি কর হাসপাতালে মেডিক্যাল সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘ফরেনসিক রিপোর্টটা এখনও আমাদের কাছে আসেনি। ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট যে রিপোর্টটা দিয়েছে, আর একবার তারা পাঠাচ্ছে’। সঙ্গে দাবি, ‘গ্লাভসের যেটা ইস্যু করা, আমাদের কাছে যেটা স্লাপাই হয়েছিল,  যেটা আমাদের কাছে আসে, ৭০০৭ নম্বর ছিল, কিন্তু যে গ্লাভসে দাগ পাওয়া গিয়েছে, তার নম্বরের সঙ্গে কোনও মিল পাচ্ছি না। অন্য নম্বর। তাহলে এই গ্লাভসের সাপ্লাই হল কী করে? তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে দেখছে। ২-৩ দিনের মধ্যে বার করার চেষ্টা করছি, গ্লাভস আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এল কী করে? সাপ্লাই হল কী করে, যখন আমরা অর্ডারই করিনি। আমাদের কাছে কোনও রিসিভ নেই। রিসিভ আছে যে বাক্সটার তারমধ্যে গ্লাভসটা এসেছে, গ্লাভসটা কিন্তু আমাদের এখানে কোনও রিসিভ হয়নি’।

এদিকে আরজি করে ‘রক্তমাখা’ গ্লাভসকাণ্ডে  কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। । বায়ো কেমিস্ট্রি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে,  ওটা রক্তের দাগ নয়। কোনও অজানা দাগ বা কোনও কেমিক্যালের দাগ হতে পারে সেগুলি। ইতিমধ্যেই সেটা পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত করে বলা যাবে ওটা কীসের দাগ ছিল। রিপোর্ট পেতে কদিন সময় লাগবে। ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। দু- ধাপে ফরেনসিক টেস্ট হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.