সঙ্গীতভবন থেকে প্রশ্নপত্র খোয়া গেল কী করে?

চলতি বছর রবীন্দ্রসঙ্গীত, নৃত্য, নাটক ও হিন্দুস্থানি ক্লাসিক্যাল মিউজিকের পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করল কর্তৃপক্ষ। সঙ্গীত ভবনের অধ্যক্ষ স্বপনকুমার ঘোষের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, ‘সঙ্গীতভবনে আগে কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। মনে হচ্ছে, এর পিছনের ব্যক্তিগত কোনও স্বার্থ আছে। পরীক্ষার পরবর্তী দিন খুব তাড়াতাড়ি ঘোষণা করা হবে’। বিশ্বভারতীর তরফে শান্তিনিকেতন থানার অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।  

১১, ১২ ও ১৩ ফ্রেরুয়ারি বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নৃত্য, নাটক ও হিন্দুস্থানি ক্লাসিক্যাল মিউজিকের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ১০ ফ্রেরুয়ারি খোদ সঙ্গীতভবনের নৃত্য বিভাগের প্রধান সুনিতা দেবীর ঘর থেকে খোয়া যায় প্রশ্নপত্র। ঘটনাটি জানাজানি হতেই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই বৈঠকের পর এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ওই তিন বিভাগের বাতিল করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন সঙ্গীতভবনের অধ্যক্ষ স্বপনকুমার ঘোষ। কিন্তু সঙ্গীতভবন থেকে প্রশ্নপত্র খোয়া গেল কী করে? প্রশ্ন উঠেছে। 

ঙ্গীতভবনের অধ্যাপিকা শ্রুতি বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন। এরপর নিরাপত্তজনিত কারণে সঙ্গীতভবনে তাঁর ঘরটি ইতিমধ্যে সিল করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রশ্নপত্র চুরির ঘটনায় কি নৃত্যবিভাগের প্রধান বিরুদ্ধে তদন্ত হবে? উত্তরে সঙ্গীতভবনের অধ্যক্ষ স্বপনকুমার ঘোষ বলেন,  ‘তিনি খুবই ভালো মানুষ। কাউকে হয়তো বিশ্বাস করে ঠকে গিয়েছেন’। তাহলে কি এই ঘটনার সঙ্গে বিশ্বভারতীরই কেউ জড়িত?  জল্পনা তুঙ্গে।

প্রসঙ্গত,  রাস্তা ফেরত নেওয়া-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) সঙ্গে রাজ্যে সংঘাত এখন চরমে। এই পরিস্থিতিতে দিন কয়েক আগে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন বীরভূমের জেলাশাসক  বিজয় ভারতী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.