Purulia Tiger: গলায় নেই রেডিও কলার, সন্ধে নামলেই ঘরবন্দি আতঙ্কিত মানুষজন, ৯ দিন ধরে বনকর্মীদের ঘোল খাওয়াচ্ছে বাঘ

কোথায় বাঘ? বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ধোঁয়াশায় রয়েছে ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ । বাঘের গলায় নেই রেডিও কলার। ফলে বাঘের গতিবিধি ও অবস্থান জানতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে ঝাড়খণ্ড বন দপ্তরকে। গত ৯ দিন ধরে ঝাড়খণ্ডের বন দপ্তরকে হিমসিম খাইয়ে রেখেছে ওই বাঘ । তবুও বাঘকে বাগে আনা যায়নি।

বাঘের আতঙ্কে ঝাড়খণ্ডের ১৩০ টিরও বেশি গ্রামে জারি হয়েছে সতর্কতা। সন্ধ্যা নামলেই গ্রামবাসীরা গৃহবন্দি হয়ে পড়ছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (WII) টিম । সরাইকেলা- খরসোঁওয়া, পূর্ব সিংভূমের জামশেদপুর, খুঁটি বনবিভাগ, দলমা মিলিয়ে প্রায় ৭-৮ জন ডিএফও পদমর্যাদার আধিকারিক, পালামৌ টাইগার রিজার্ভের বাঘ বিশেষজ্ঞরা এবং চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেনের তত্ত্বাবধানে চলছে বাঘের উপর নজরদারি ।

গত ৯ দিন ধরে ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসোঁওয়া বনবিভাগের চান্ডিল রেঞ্জ এলাকা, চৈনপুর, বালিডি জঙ্গল, দলমা রেঞ্জ, চৌকা রেঞ্জ সহ বিভিন্ন এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে । প্রতিদিনই নিজের অবস্থান পরিবর্তন করছে ওই বাঘ । এক সপ্তাহ আগে একটি গবাদি পশুর শিকার করেছিল ওই বাঘ । তারপর থেকে বাঘের শিকারের নমুনা মেলেনি । কিন্তু বাঘ খালি পেটেও থাকবে না। ফলে ভরসা কেবল বাঘের পায়ের ছাপ। বাঘের অবস্থান জানতে তাই সকাল থেকেই বাঘের পায়ের ছাপ খুঁজছেন বনকর্মীরা । একাধিক রেঞ্জ এলাকায় জঙ্গল লাগোয়া এলাকাতে বন কর্মীদের টিম তৈরি করে মোতায়েন করা হয়েছে ।

এদিকে ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পুরুলিয়া বনবিভাগও চিন্তিত । প্রতিদিন প্রায় ১০-১৫ কিমি পথ অতিক্রম করে অবস্থান পরিবর্তন করছে ওই বাঘ । ফলে আগে থেকেই তৎপর রয়েছে পুরুলিয়া বন দপ্তর। জিনাতের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় তার জন্য আগে থেকেই ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল লাগোয়া পুরুলিয়ার বিভিন্ন রেঞ্জ আধিকারিক ও কর্মীদের সঙ্গে করেছে পুরুলিয়ার বন বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুরুলিয়ার কংসাবতী দক্ষিণ ও পুরুলিয়া বনবিভাগ থেকে এই মর্মে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে অরণ্যভবনে। এই বাঘ কবে বাগে আসবে? মানুষের আতঙ্ক কবে কাটবে সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.