১৯৫২ সাল। অধ্যাপক, আইনজীবী ও ইঞ্জিনিয়ার এরকম তিন পেশার ৫ জন তরুণ, তাঁরা হলেন তিনকড়ি সাঁতরা, কালিপদ জানা, অজিত ব্যানার্জি, নিহারবিন্দু দত্ত ও ভূজেন্দ্র ব্যানার্জি। কেউ পেশায় আইনজীবী, কেউ অধ্যাপক, তাঁরা উদ্যোগী হয়ে এই পুজো শুরু করেছিলেন। তাঁদের কেউই আজ বেঁচে নেই। তারা তিনজনে মিলে শুরু করেছিলেন মেদিনীপুর শহরের সংযুক্তপল্লী সর্বজনীনের পুজো। এই পুজো এবছর ৭৩ বছরে পড়লো। মেদিনীপুরের সুভাষ নগর, ক্ষুদিরাম নগর, রবীন্দ্রনগর, হাতার মাঠ, রাজা বাজার এই পাঁচটি এলাকার বাসিন্দাদের একটাই পুজো নিয়ে সংযুক্ত
পল্লীর পুজো।
পুজো কমিটির কর্তা তাপস সিনহা ও শান্তনু চক্রবর্তী জানান, ৭৩ বছরে এই পুজোর থিম সাবেকিয়ানা। সোনালী ঝলমলে ডাকের সাজের অলঙ্কার ভূষিত প্রতিমা। ঠিক যেমন হয়ে আসছে কলকাতার একডালিয়া এভারগ্রিন -এর মন্ডপে। হোগলা পাতার কারুকাজ দিয়ে মন্ডপ। ভেতরে শাল, সেগুন, মেহগিনি, ইউক্যালিপটাস, অর্জুন গাছের ছাল, পাট আর কলা গাছের তন্তু দিয়ে সুন্দর নকশা করা হয়েছে। পরিবেশ বান্ধব উপকরণ দিয়ে মন্ডপ করা হয়েছে।