সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন এবং রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। তার আগে থেকেই রামের জন্মভূমি জু়ড়ে সাজ সাজ রব। প্রস্তুতিপর্বের পাশাপাশি শুরু হয়ে গিয়েছে মন্দিরে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার আচারবিধি পালনও। রামমন্দির উদ্বোধনের দিনে ছুটি ঘোষণা করেছে দেশের বিভিন্ন রাজ্য। তালিকায় উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি রয়েছে আরও একাধিক রাজ্যের নাম।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করেছেন, ২২ জানুয়ারি রাজ্যের সমস্ত স্কুল ছুটি থাকবে। এমনকি রাজ্যের সমস্ত মদের দোকানেও তালা ঝোলানো থাকবে। মদের দোকান বন্ধ থাকবে মধ্যপ্রদেশও। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব ২২ জানুয়ারি রাজ্যের সমস্ত স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন। রামমন্দির উদ্বোধনের দিন সারা রাজ্যে উৎসব পালন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত একটি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন ২২ জানুয়ারি সরকারি দফতর থেকে শুরু করে রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ থাকবে। ছত্তীশগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছেন রামমন্দির উদ্বোধনের দিন ছত্তীশগঢ়ের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। হরিয়ানা সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২২ জানুয়ারি রাজ্যের কোনও জায়গায় মদ্যপান করা যাবে না। সে দিন রাজ্যের সমস্ত স্কুলেও ছুটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের প্রশাসন।
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের তরফে অনুষ্ঠানের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ছিল প্রায়শ্চিত্ত এবং কর্ম-কোটি পুজো। বুধবার রামলালার মূর্তি শোভাযাত্রা করে সরযূ নদীর তীরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে অভিষেকের পরে মূর্তিটি ফিরিয়ে আনা হবে মন্দিরে।
ভিড় থেকে যেন বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয় সে কথা মাথায় রেখে মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে এই অনুষ্ঠান শেষ পর্যন্ত না-ও হতে পারে। আবার বুধবারের এই অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত আকারেও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রবিবার পর্যন্ত নানা ধরনের আচারবিধি পালনের পর সোমবার, ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শিশু রামের (রামলালা) মূর্তি নিজের হাতে বহন করে এনে অযোধ্যার নতুন রামমন্দিরে প্রতিষ্ঠা করবেন সে দিন। নতুন রামমন্দিরের গর্ভগৃহে নয়া বিগ্রহের সঙ্গেই ঠাঁই পাবেন ‘পুরনো রামলালা’ও।