কীটনাশক খেয়ে প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর রবিবার মৃত্যু হল জলপাইগুড়ি শহরের এক যুবকের। এক যুবতীর বিরুদ্ধে ওই যুবককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ জানানোর পরেও কোতোয়ালি থানায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের।
এদিন বিকেলে মৃত যুবকের দেহ থানায় নিয়ে যায় মৃতের পরিবার। এরপর থানার মূল গেট আটকে অভিযুক্ত যুবতীকে গ্রেফতারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভে সামিল হন মৃতের পরিজনেরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায়। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলে, এরপর পুলিশ ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দিলে আন্দোলন তুলে নেন মৃতের পরিজনেরা। মৃত যুবকের নাম সিদ্ধার্থ হেলা, বয়স কুড়ি বছর। বাড়ি জলপাইগুড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন বস্তিতে।
পরিবারের দাবি, প্রায় তিন বছর থেকে ওই এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল সিদ্ধার্থের। গতমাসে পড়শি যুবতীর প্ররোচনায় সিদ্ধার্থ বাড়িতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। অভিযোগ, ওই যুবতী জানার পরেও কাউকে জানায়নি। এরপর প্রায় তিন ঘণ্টা বাদে যুবককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখান থেকে কলকাতা চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি। আবার জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। এ দিন হাসপাতালে মারা যান। এরপরেই পরিজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে মৃতদেহ নিয়ে থানায় পৌঁছায়। অভিযুক্ত যুবতী ও তার পরিবারের সকলকে গ্রেফতারে দাবি জানায় মৃতের পরিবার। পুলিশ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। আইসি অর্ঘ্য সরকার বলেন,”অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।”