সব নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পাশও করেছেন। এমনকী, নিয়োগপত্রও হাতে পেয়ে গিয়েছেন অনেকে। অথচ দিনের পর দিন চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না কনস্টেবল পদপ্রার্থীরা। এমনই দাবি করে রাজ্য পুলিশের সদর দফতর ভবানী ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হল। লাঠিচার্জও করা হয়েছে বলে দাবি।
এদিন ভবানী ভবনের সামনে বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ শুরু হয়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভে সামিল হন পুলিশ কনস্টেবল পদের চাকরিপ্রার্থীরা। ভবানী ভবন থেকে বেরিয়ে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন ডিসি (সাউথ) আকাশ মাঘারিয়া। তারপরও শান্ত হননি বিক্ষোভকারীরা। এরপরই পুলিশের তরফে ঘোষণা করা হয় যে, ৫ মিনিটের মধ্যে যদি বিক্ষোভ না তোলেন তাঁরা, তাহলে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এর পরেও বিক্ষোভকারীরা অনড় থাকায়, ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের লাঠিচার্জ করে করে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ থাকার সত্ত্বেও চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। অনেকের কাছেই নিয়োগপত্র রয়েছে, তবুও নিয়োগ আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। করোনার কারণে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছিল বলেও অভিযোগ চাকরিপ্রার্থীদের। তাঁরা জানিয়েছেন, গত জানুয়ারিতে নতুন চাকরিতে যোগদানের তারিখ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। বিক্ষোভকারীরা আরও জানিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই অন্য চাকরি ছেড়ে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়োগ পিছিয়ে যাওয়ার কারণে, তাঁরা সবাই এখন কর্মহীন। ফলে প্রচুর সমস্যায় পড়েছেন। এক ব্যক্তি বলেন, ‘পুলিশের চাকরি পেয়েও মার খেতে হচ্ছে পুলিশের হাতেই’,
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ ব্যাপারে একটা সঠিক দিকনির্দেশ দেওয়া হোক। জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদের জন্য ৮, ৪১৯ জন উত্তীর্ণ হন। এর মধ্যে ২,৮০০ জনের নিয়োগও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকিদের নিয়োগ হয়নি এখনও। এরই মাঝে একটা আইনি জটিলতাও তৈরি হয়েছিল। এই নিয়োগে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও কেন নিয়োগ শুরু হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রার্থীরা। কয়েক মাস হয়ে গিয়েছে, তাঁদের অনেকের হাতে নিয়োগ পত্র এসেছে, অথচ চাকরিতে যোগ দিতে পারছেন না তাঁরা। এই নিয়েই এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।