আজ বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সর্ব ভারতীয় সমন্বিত ফল গবেষণা কেন্দ্র'(ICAR-AICRP on fruits)-এর উদ্যোগে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচরাপাড়া হার্ণেট হাই স্কুলে আম, পেয়ারা, সবেদা, কাঁঠাল, মৌসম্বী, কলা প্রভৃতি ২২ টি ফলের গাছ লাগানো হয়। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিলীপ কুমার মিশ্র, অধ্যাপক কল্যাণ চক্রবর্তী ও অধ্যাপক ফটিক কুমার বাউরি।
তারা আজ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন কাঁচরাপাড়া হার্ণেট হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অনুপ কুমার দাস ও অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্ররা। এদিন দুপুর বেলায় অধ্যাপকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানের শুরুতে গাছ সম্পর্কে ছাত্রদের প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়।
অধ্যাপক দিলীপ কুমার মিশ্র গাছের গুরুত্ব, বিশেষ করে ফল গাছের গুরুত্ব সম্পর্কে ছাত্রদের বোঝান। তিনি বলেন, “ফল গাছ লাগালে শুধু যে আমরা নিজেরা খেতে পারব, তা নয়। অন্যান্য পশু-পাখী, কীটপতঙ্গ – যারা মূলত ফল খেয়ে বেঁচে থাকে তারাও বাঁচতে পারবে। ছাত্ররা চাইলে বাড়িতে ফল গাছ লাগাতে পারে। সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেরা গিয়ে বিভিন্ন প্রকারের ফলের গাছ দেখে আসতে পারে।পাশাপাশি ছাত্ররা বড়ো হয়ে ফলের বাগান করে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বীও হতে পারে।”
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অনুপ কুমার দাস বলেন, “বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আজ আমাদের বিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করাতে আমরা ভীষণভাবে আপ্লূত। গাছে ফল হলে ছাত্ররা যেমন খেতে পারবে তেমনি জীববৈচিত্র্যও রক্ষিত হবে।”
অনুষ্ঠানে শেষে ছাত্রদের দায়িত্ব দেওয়া হয় বিভিন্ন গাছের দেখভাল করার জন্য। ছাত্ররাও ভীষণ খুশী হয়েছে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পেরে।