প্রফেসর পি কোয়া: পিএফআই-এর জাতীয় নির্বাহী সদস্য এবং এন ডি এফ এর ফাউন্ডিং মেম্বার।

ই আবুবাকের : পি এফ আই এর পলিটিক্যাল উইং এস ডি পি আই এর প্রেসিডেন্ট।
ই এম আব্দুল রাহিমান: পি এফ এই এর ভাইস চেয়ারম্যান।

এগুলো হলো ওপরের তিন ব্যক্তির বর্তমান দায়িত্ব, একটু ইতিহাসে চোখ রেখে দেখা যাক এদের অতীত কি বলে।

প্রথম ব্যক্তি এন ডি এফ এর প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার সাথে সাথে সিমিরও ফাউন্ডিং মেম্বার।
দ্বিতীয় ব্যক্তি SIMI’ র কেরালা ইউনিট এর প্রধান ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত।
তৃতীয় ব্যক্তি SIMI’ র জেনারেল সেক্রেটারি ১৯৮২ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত।

‘SIMI’ -দ্য স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া একটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন যা 1977 সালের এপ্রিল মাসে উত্তর প্রদেশের আলীগড়ে গঠিত হয়েছিল। সিমি এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ মোহাম্মদ আহমাদুল্লাহ সিদ্দিকী। এই সিমি ব্যান হওয়ার পর এই সিদ্দিকী usa তে শিফট করে এবং সেখান থেকে অ্যান্টি ইন্ডিয়া এক্টিভিটিস চালাতে থাকে। এই সিদ্দিকী ইসলামিক সার্কেল অফ নর্থ আমেরিকা ( ICNA) নামে একটি অর্গানাইজেশন চালায় যার মুখ্য উদ্দেশ্য এক্সট্রিমিজম এবং টেরোরিজম। এই কাজে তার সাথে যুক্ত পাকিস্তানের জামাতি আব্দুল মালিক মুজাহিদ। সিমি এর উল্লিখিত মিশন হল ভারতকে ইসলামিক ভূমিতে রূপান্তরিত করে ‘ভারতের আজাদী ‘। SIMI ভারতের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিল যার লক্ষ্য হল সকলকে জোরপূর্বক ইসলামে ধর্মান্তরিত করে বা হিংসার মাধ্যমে দার-উল-ইসলাম (ইসলামের ভূমি) প্রতিষ্ঠা করা। সিমি ২০০০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বিভিন্ন বম্ব ব্লাস্ট এর সাথেও যুক্ত ছিল। ভারত সরকার একে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করে এই সংস্থাকে ব্যান করে ‘UAPA’ এর প্রেক্ষিতে।

অর্থাৎ এখান থেকেই বোঝা যায় সিমির সাথে যুক্ত ব্যক্তি দের মানসিকতা। সেই একই ব্যক্তি রা বিভিন্ন নতুন নতুন অর্গানাইজেসন তৈরী করেই হোক বা এগজিস্টিং অর্গানাইজেসন মার্জ করে পি এফ আই এর মতো নতুন নাম দিক তাতে তাদের মোডাস অপারেন্ডি পাল্টায় না।
এই ধরনের বেশ কিছু সংস্থার মধ্যে একটি সংস্থা “Islamic seva sangh (ISS)” যার প্রতিষ্ঠাতা ধর্মগুরু আব্দুল নাসির মাদানী যে কোয়েম্বাটুর বম্ব ব্লাস্ট এর সাথে যুক্ত থাকার কারণে কয়েদির সাজা প্রাপ্ত এবং ISS ও ব্যান হয়।

2010 সালে কেরালার প্রফেসর টি যে জোসেফ কে ‘PFI’ এর জিহাদিরা হত্যা করে এবং এখান থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের এজেন্সির এদের ওপর পর্যবেক্ষণের।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল কেরালা গভর্নমেন্ট ২০১২ সালে কেরালা হাই কোর্টে একটি এফিডেভিট এর মাধ্যমে জানায় যে ‘PFI’ হলো ‘SIMI’ এর একটি “resurrected avatar” এবং কেরালার প্রচুর মার্ডার বিশেষত CPI(M) ও RSS ক্যাডার দের মৃত্যু এর সাথে এদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে।

এই বিষয়টির একটি যুক্তিসঙ্গত বিশদ বিবরণ এমন সময়ে প্রাসঙ্গিক হতে পারে যখন প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট, 2002 এর অধীনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট পিএফআই এবং রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সামষ্টিকভাবে 68,62,081 টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে। এছাড়াও সারা দেশ জুড়ে প্রচুর গণহত্যা , প্রভোকেটিঙ কার্য্যকলাপ, ‘CAA’ বিরোধী আন্দোলনে গালফ দেশ গুলি থেকে টাকার আমদানি , দিল্লী রায়ট , সোনা পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা , মুসলিম প্রধান অঞ্চলে লাভ জিহাদ করার জন্যে উস্কানি এবং টাকার লেনদেন ইত্যাদি বিবিধ অভিযোগে ‘PFI’ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলি যুক্ত।
এরপরেও এই সংগঠন এর ইনোসেন্ট দিক যারা যারা খুঁজে পাচ্ছে তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপের দিকেও গোয়েন্দা সংস্থা গুলির নজর দেওয়া দরকার।

Debaditya Chakrabarty

Source:
theprint.in , english.mathrubhumi.com , organiser.org, opindia.com.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.