অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার বাকি আর ১১ দিন। প্রাণ প্রতিষ্ঠার পবিত্র দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। তাই আজ থেকে কঠোর সংযম শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১১ দিন তিনি নানাবিধ বিধি-নিষেধের মাধ্যমে ব্রত পালন করে অন্তরের পবিত্রতাকে জাগ্রত করবেন। শুক্রবার একটি ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী একথা জানিয়েছেন।
আগামী ১১দিনের কঠোর ব্রত পালন শুরু করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি ভাগ্যবান যে পবিত্র মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পারছি। যে স্বপ্নটাকে অনেক যুগ ধরে অনেক বছর ধরে আমার হৃদয়ে লালন-পালন করে আসছি, সেই স্বপ্ন পূরণের সাক্ষী হতে পারছি। মন্দিরে দেবতার প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের মধ্যেও ঈশ্বর চেতনা জাগানোর প্রয়োজন। ঈশ্বরের যজ্ঞের জন্য, আরাধনার জন্য নিজেদের মধ্যেও দৈব চেতনা জাগ্রত করতে হয়। তাই আজ থেকে ১১ দিনের কঠোর ব্রত আমি পালন করব।
মোদী জানান, ধর্মগ্রন্থে উল্লেখিত বিধি অনুসারে এবং সাধু সন্তদের উপদেশ মেনে এই ১১ দিন কঠোর অনুশাসন মেনে চলবেন তিনি। রাম মন্দির নিয়ে নিজের আবেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। মনে হচ্ছে জীবনে প্রথমবারের জন্য এমন অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। ব্রত পালন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে মাত্র ১১ দিন বাকি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় ভারতবাসীর প্রতিনিধিত্ব করতে ঈশ্বর আমাকে প্রস্তুত করেছেন। এই কথা মনে রেখে আমি আজ থেকে ১১ দিনের বিশেষ ব্রত পালন শুরু করছি।
২২ জানুয়ারি রামলালার পুজো করে দুপুরের দিকে রাম মন্দিরে প্রতিষ্ঠা হবে রাম লালার। তার আগে টানা সাত দিন ধরে চলবে রাম লালা প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।
১৭ জানুয়ারি রামলালার বিগ্রহ নিয়ে শোভাযাত্রা হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। ওই দিন মঙ্গল কলসে সরযূ নদীর জল নিয়ে যাবেন ভক্তরা। পরের দিন গণেশ অম্বিকা পুজো, বরুণ পুজো, মাতৃকা পুজো, ব্রাহ্মণ বরণ, বাস্তু পূজা হবে। ১৯ জানুয়ারি যজ্ঞের পাশাপাশি অগ্নি ও নবগ্রহ স্থাপন হবে রাম মন্দিরে। পরের দিন সরযূ নদীর জলে ধোয়া হবে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহ। এছাড়াও অনধিবাস বাস্তু শান্তি করা হবে ঐদিন। উদ্বোধনের আগের দিনে ১২৫টি কলসের জল দিয়ে স্নান করানো হবে রামলালা বিগ্রহকে। ওই মহাযজ্ঞ শুরুর আগেই মোদী শুরু করলেন অন্তরের পবিত্রতা জাগ্রত করার প্রক্রিয়া।