বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখতে শুক্রবার আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা

 অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এ কার্যত তছনছ ওড়িশার বিস্তীর্ণ অংশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা। সেই বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করতে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  জানা গিয়েছে, আগামীকাল তিনি হেলিকপ্টারে প্রথমে ভুবনেশ্বরে নামবেন। সেখানে তিনি প্রশাসনিকস্তরে একটি বৈঠকে অংশ নেবেন। এরপর আকাশপথে তিনি ওড়িশার দুর্যোগ কবলিত এলাকা বালেশ্বর, ভদ্রক ঘুরে দেখবেন। এরপর তিনি পশ্চিমবঙ্গের  পূর্ব মেদিনীপুরের যে এলাকা সবচেয়ে বেশি  বিপর্যস্ত, সেখানে পরিদর্শন করবেন। একইদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ‘ইয়াস’-এ তছনছ হয়ে যাওয়া  দিঘা, সাগরের মতো  এলাকা পরিদর্শনের কথা হেলিকপ্টারে। দুই প্রধান একইসঙ্গে আকাশপথে দুর্যোগ কবলিত এলাকা দেখবেন, এই সম্ভাবনাই বেশি বলে সূত্রের খবর। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঘুরে দেখবেন ওড়িশার বিধ্বস্ত এলাকাও। বুধবার অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বয়ে গিয়েছে  ওড়িশা ও বাংলার উপকূল দিয়ে। তাতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া এলাকা। শুক্রবার এসব এলাকা ঘুরে দেখতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে ওড়িশা এবং বাংলার ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে আসছেন প্রধানমন্ত্রীও। তিনি মূলত পূর্ব মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতি দেখবেন আকাশপথে। সূত্রের খবর, পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। বিপর্যয় পরবর্তী পরিস্থিতিতে কেন্দ্র-রাজ্য হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।  এর আগে গত বছর আমফানের পরও প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গে এসে হেলিকপ্টারে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন। ঘোষণা করেছিলেন, বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে ১০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল বাংলার জন্য। আগেই ‘ইয়াস’ মোকাবিলায় বাংলার জন্য ৪০০ কোটি টাকার সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।  রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, এভাবে রাজনীতি দূরে সরিয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় যদি কেন্দ্র-রাজ্য একসঙ্গে কাজ করে, তবে দ্রুতই ক্ষতি পূরণ সম্ভব। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.