বছর শেষে প্রাথমিকে শূন্যপদে ইন্টারভিউ। নিয়োগে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ নেই কেন? কীভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে? স্রেফ মামলাকারীর আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক নয়, ৭ দিনের মধ্য়ে পর্ষদের সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
সেদিন ছিল দুর্গাপুজোর চতুর্থী। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ। এরপর ২১ অক্টোবর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত টেটে নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া চলে অনলাইনে। পরে অবশ্য আবেদনের সময়সীমা বাড়ানো হয় আরও ৭ দিন। কারা চাকরি পাবেন? মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ইন্টারভিউ পর্ব। প্রথম পর্যায়ে ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছেন শুধুমাত্র কলকাতার চাকরিপ্রার্থীরা।
এদিকে প্রাথমিকে ইন্টারভিউয়ের দিন ঘোষণা হওয়ার পর মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। কেন? মামলাকারীর দাবি, ২০১৯ সালে সংবিধান সংশোধনী বিল পাস হয়। নয়া আইনে যেকোনও নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া প্রার্থীদের সংরক্ষণে কথা হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি। এদিন মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চে। নিয়োগে সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সংসদকে ৭ দিন সময় দিল আদালত।