প্রাথমিকে চাকরি বিক্রির টাকা প্রভাবশালী ব্যক্তির সংস্থায়! কীভাবে? ‘এজেন্ট মারফত এক প্রভাবশীল ব্য়ক্তির সংস্থায় টাকা পাঠানো হয়’। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার চাঞ্চল্য়কর রিপোর্ট দিল সিবিআই। সূত্রের খবর তেমনই।
হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। সঙ্গে ইডি-ও। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই প্রভাবশালী ব্য়ক্তি একজন প্রথমসারির নেতা। মূল এজেন্ট মারফত ৩০ কোটি টাকা গিয়েছে তাঁর সংস্থায়! মাঝে এক ব্যক্তি সেতু হিসেবে কাজ করেছে। প্রভাবশালী ব্যক্তি সংস্থা থেকে আবার টাকা পাঠানো হয় বেসরকারি সংস্থায়। ব্য়াংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য ও মূল মূল এজেন্টের বয়ান সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘সোজা, সহজভাবে মানুষ এটা জানে যে. একটা কারখানা যদি কোনও পণ্য তৈরি হয়, সেটা হয়ে যাওয়ার পরে সেটা ডিসট্রিবিউটরের কাছে, ডিসট্রিবিউটরের থেকে ডিলারের কাছে যায়, তারপর রিটেল কাউন্টারে যায়। বারবার রিটেলরদের নাম আসছে, ডিলারের নাম আসছে। কিন্তু ডিসট্রিবিউটরের কোথায়? ডিরেক্টর কোথায়, চেয়ারম্যান কোথায়? পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্য, মানিক ভট্টাচার্যরা জেলে থাকতে পারে, কিন্তু প্রভাবশালী যাঁরা, যাঁদের অনুপ্রেরণায় এটা বাস্তবায়িত করা হয়েছিল, কবে তাঁরা ধরা পড়ব’?
সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘পেঁয়াজ দেখেছেন তো, একটা করে খোসা ছাড়াবেন, আবার পরের খোসা, আবার ছাড়াবেন আবার পরের খোসা দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে, সর্বগ্রাসী, পশ্চিমবঙ্গে এটা সবাই বুঝতে পারছে। মধ্য়মণি কারা? কেউ জানে না। জানে না কে প্রভাবশালী’!