শাক সবজি থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার। এই পরিস্থিতিতে ভোগ্য পণ্যের দাম কমার সুখবর দিয়েছে মোদী সরকার। তবে দাম বেশ খানিকটা কমলেও করোনার আগের পরিস্থিতিতে যাবে না বলেও জানা গেছে।
সোমবার অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ধাতু বাদে অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম বেশ কিছুটা কমবে। তবে অর্থ মন্ত্রকের মাসিক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে দাম কিছুটা কমলেও বাজার দর করোনা পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরবে না। ভোগ্যপণ্য সংক্রান্ত বিশ্বব্যাঙ্কের এপ্রিল ২০২৩- এর রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোগ্য পণ্যের মূল্য নিম্নগামী। চলতি বছর তা আরও কমবে। ফলে সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে অর্থ মন্ত্রকের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে খাদ্য মূল্যের সূচক নিম্নগামী থাকবে। এই বছর কৃষি পণ্য রপ্তানির জন্য খ্যাতো দেশগুলিতে ভালো ফলন এবং তেলের দাম কমায় সূচক নিম্নগামী। যোগান জনিত সমস্যা অনেকটা মিটে যাওয়া এবং উৎপাদন খরচ কমায় ২০২৩ সালের ভোগ্যপণ্যের দাম অন্তত ৩৭ শতাংশ কমে যাবে।
এছাড়া ২০২৩ এবং ২০২৩ -২৪ অর্থবর্ষে সর্ষের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এপ্রিল ২০২৩ পাইকারি মুদ্রা স্ফীতি দর রেকর্ড হারে কমেছে। একইভাবে খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির দর ৭.৮ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে
৪.৭ %।
প্রায় দু’ বছর ধরে করোনা মহামারীর ধাক্কা, তার উপর রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের যোগান জনিত সমস্যার জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। জ্বালানি থেকে শুরু করে আনাজপাতির মূল্য বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে আমজনতার।