বঙ্গ সফরের দ্বিতীয়দিনে সকালেই বেলুড় মঠের উদ্দেশে রওয়ানা দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সকাল আটটা দশ মিনিটে রাজভবনের দক্ষিণ গেট দিয়ে সম্পূর্ণ প্রোটকল নিরাপত্তায় তাকে বের করে এসপিজি। আগে থেকেই কিছুক্ষণের জন্য মেয়ো এবং রেড রোড সাধারণ যান চলাচলের জন্য বন্ধ রেখেছিল কলকাতা পুলিস। তার কনভয় বিদ্যাসাগর সেতুর অ্যাপ্রোচ ধরার পর ফের এই রাস্তায় যান চলাচলের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় দিনে একাধিক কর্মসূচী রয়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। দিনের শুরুতেই নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা আগে রাজভবন থকে বেরিয়ে তিনি পৌঁছে যান বেলুর মঠে। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের তরফে দায়িত্বে রয়েছেন অরূপ রায়, বীরবাহা হাঁসদা এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন কর্তৃপক্ষ। বেলুর মঠের মূল মন্দির সহ মঠের বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন তিনি।
বেলুর মঠের ভিতরের অংশ অনেকটাই বড়। সেই অংশটি ঘুরে দেখার জন্য বেলুর মঠ কর্তৃপক্ষ কয়েকটি গলফ কার্টের ব্যবস্থা করেছেন। সেই গাড়িতেই রয়েছেন রাষ্ট্রপতি। জানা গিয়েছে বেলুর মঠের সম্পূর্ণ চত্তর ঘুরে দেখতে চান তিনি।
সকাল ৮.৪৫ মিনিটে বেলুর মঠে পৌঁছে কয়েক মিনিট সময় কাটান অতিথিশালায়। এরপরেই মূল মন্দিরে আসেন তিনি। সেখানে রামকৃষ্ণ পরমহংস এবং সারদা মায়ের মূর্তি রয়েছে। রাষ্ট্রপতি পুজো দেন সেখানে। এরপরেই তিনি বেরিয়ে পরে বেলুর মঠের সর্বত্র ঘুরে দেখতে।
দুই দিনের সফরে বাংলায় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। প্রথমদিন সকালে কলকাতার এলগিন রোডে নেতাজি ভবনে যান তিনি। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান নেতাজির পরিবারের লোকেরা। ঘুরে দেখানো হয় ভবনটি। রাষ্ট্রপতি সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
বিকেলে নেতাজি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতিকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয় রাজ্য সরকার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের ভাষণে বাংলা ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরেন তিনি। রাষ্ট্রপতির কাছে মমতার আর্জি, ‘দেশের প্রথম নাগরিক হিসেবে দেশের সংবিধান ও গরিব মানুষের অধিকার রক্ষা করুন’।