ইতিহাসের পাতায় নিজের নাম লিখেছেন কর্ণাটকের তরুণ ব্য়াটার প্রখর চতুর্বেদী (Prakhar Chaturvedi)। তিনি গত সোমবার অনূর্ধ্ব-১৯ কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে (Cooch Behar Trophy Final 2024) প্রখর সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিয়েছেন। ৪৬টি চার ও তিনটি ছক্কায় ভর করে প্রখর ফাইনালে খেলেছেন ৬৩৮ বলে অপরাজিত ৪০৪ রানের ইনিংস। এই মহাকাব্য়িক ইনিংস ভর করেই প্রখর ভেঙেছেন ভারতের কিংবদন্তি যুবরাজ সিংয়ের (Yuvraj Singh) রেকর্ড। আজ থেকে ২৪ বছর আগে যুবি কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে ৩৫৮ করেছিলেন। ১৯৯৯ সালে পঞ্জাব পুত্তর নিজের রাজ্য়ের হয়ে খেলেছিলেন বিহারের বিরুদ্ধে। আর সেই বিহার দলে যুবরাজের প্রতিদ্ধন্দ্বী ছিলেন খোদ এমএস ধোনি (MS Dhoni)।
যুবি মঙ্গলবার তাঁর এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘ভীষণ খুশি হয়েছি এটা দেখে! রেকর্ড তো তৈরিই হয় ভাঙার জন্য়। এটা দেখে আমি আনন্দিত যে, ভারতীয় ক্রিকেট নিরাপদ হাতে আছে।’ যুবরাজের এই প্রশংসা নিঃসন্দেহে প্রখরের কাছে দারুণ উপহার। কারণ প্রখর যে খেলায় রেকর্ড গড়েছেন, সেই খেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ে একটা সময় বিশ্বশাসন করেছেন জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী অলরাউন্ডার। ফলে তরুণের কাছে যুবির সার্টিফিকেট মহার্ঘ।ভার তের অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে প্রিমিয়াম ঘরোয়া টুর্নামেন্টের কথা যদি বলা হয়, তাহলে কিন্তু সবার আগে থাকবেন বিজয় জোল। ২০১১-১২ সালে তিনি মহারাষ্ট্রের হয়ে অসমের বিরুদ্ধে ৪৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। প্রখর সার্বিক ভাবে দুয়ে থাকবেন। কোচবিহারের মহারাজার নামে নামকরণ করা হয়েছে কোচবিহার ট্রফির। ইতিহাস বলছে ১৯৪৫-৪৬ মরসুমে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে এই ট্রফির আর্বিভাব। ১৯৮৬-৮৭ সাল পর্যন্ত এটি স্কুল প্রতিযোগিতাই ছিল, পরে অনূর্ধ্ব-১৯ ফরম্যাটে জাতীয় প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কর্ণাটক শিবমোগায় প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আয়ূষ মাত্রে ১৪৫ রানের ইনিংসে কর্ণাটক ৮০ রান করতে সমর্থ হয়। মনে হয়েছিল যে, মুম্বই অ্যাডভান্টেজে আছে। কিন্তু সব হিসেব একাই বদলে দেন প্রখর। কর্ণাটকের হয়ে দুরন্ত বল করেন হার্দিক রাজ। ৮০ রান দিয়ে তুলে নেন চার উইকেট। সম্রাট এন ও সমিত দ্রাবিড়ও নেনে দুই উইকেট। কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও রোহিত শর্মাদের কোচ রাহুল দ্রাবিড়েরই সুপুত্র সমিত। প্রখর ছাড়াও কর্ণাটকের হয়ে দারুণ ব্য়াট করেছেন হর্ষিল ধর্মানি। কিন্তু প্রখরের ধ্বংসলীলার সামনে আর কোনও কিছুই আলোচনার কারণ হতে পারেনি। আর এই ট্রফিতে এর আগে কোনও ক্রিকেটার ৪০০ করতে পারেননি, করে দেখালেন প্রখর। তিনি হেসে খেলে ৫০০ রানও হয়তো করে দিতে পারতেন। একশো ওভার ব্য়াট করেছেন তিনি। তাঁর উইকেট নেওয়ার জন্য় মুম্বইয়ের বোলাররা সবরকম চেষ্টা করেও ব্য়র্থ হন।