বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পৌষ মেলা বাতিল করা হলেও, তারা পালন করছে পৌষ উৎসব। সেই মতোই সকাল বেলায় ছাতিম তলায় ব্রহ্ম উপাসনার মাধ্যমে শুরু হলো পৌষ উৎসবের। যদিও সংবাদমাধ্যমকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এই উপাসনায় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ, বিশ্বভারতী অন্যান্য আধিকারিকরা ও ছাত্র-ছাত্রীরা। সাদা পোশাকে থাকা পর্যটকদেরও প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে এই উপাসনায়।
অন্যদিকে বিশ্বভারতী পৌষ মেলা না করার কারণে বোলপুর পৌরসভা এবং প্রশাসনের উদ্যোগে বোলপুর ডাকবাংলা মাঠে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিকল্প পৌষ মেলা। শুক্রবার সেই মেলার উদ্বোধন করবেন, রাজ্যর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মেলা ঘিরে ইতিমধ্যেই মানুষের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই মানুষের ভিড় রয়েছে এই এলাকায়।
একইসঙ্গে বিকল্প পৌষমেলার উদ্বোধনে থাকছেন না বিশ্বভারতীর উপাচার্য। রাজ্য সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দিতে রাজি হননি তিনি। এর কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের সঙ্গে একমঞ্চে বসবেন না উপাচার্য’। বিস্ফোরক এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বভারতীর অন্যতম বড় উৎসব দুটি। পৌষমেলা এবং বসন্ত উৎসব। করোনার কারণে দুই বছর এই মেলা বন্ধ ছিল। এই বছর পৌষমেলা আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এর কারণে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে চিঠিও লিখেছিলেন মুখ্যসচিবকে। কিন্তু শেষপর্যন্ত মেলার জন্য মাঠ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
পাশাপাশি এবার বিশ্বভারতীর শৃঙ্খলা না মানার অভিযোগ তুলে বিশ্বভারতী থেকে বরখাস্ত করা হল, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য কে। এর আগেও তাকে সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছিল কর্তৃপক্ষের তরফে। উল্লেখযোগ্যভাবে বারবার বিশ্বভারতীর বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে এই অধ্যাপককে। আর সে কারণেই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রতিহিংসার কারণেই তাকে বরখাস্ত করেছে বলে দাবি বিশ্বভারতীর আন্দোলনকারী ছাত্র ছাত্রী এবং অধ্যাপকদের।