যে গাড়িতে নির্যাতন, তা পায়নি পুলিশ! ১১ বছর আগের কড়েয়া গণধর্ষণকাণ্ডে তিন অভিযুক্ত বেকসুর খালাস নিম্ন আদালতে

২০১৪ সালে কলকাতার কড়েয়ায় গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত তিন জনকে বেকসুর খালাস করে দিল আলিপুর আদালত। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, যে গাড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল, তা বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি পুলিশ। ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্টও সঠিক ভাবে আসেনি। সেই কারণে অভিযুক্তেরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন। অভিযুক্তেরা জেল থেকে বার হলে তিনি আবার নির্যাতনের শিকার হতে পারেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

২০১৪ সালে কড়েয়ার বন্দেল গেটে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০ জুন রাতে নির্যাতিতা বন্দেল গেটে রুটি কিনতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁকে জোর করে গাড়িতে তোলেন তিন যুবক। বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরে তাঁকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে পরে গ্রেফতার করা হয়। তিনি জামিনে ছাড়া পান। অভিযোগ, ছাড়া পেয়ে নির্যাতিতার এক আত্মীয়াকে ধর্ষণ করেন তিনি। সেই মামলায় আবার গ্রেফতার হয়েছিলেন মূল অভিযুক্ত।

সরকারি আইনজীবী মৃদুলা বিশ্বাস জানান, বিচারকের পর্যবেক্ষণ হল, যে গাড়িতে নির্যাতন হয়েছিল, তা উদ্ধার করা যায়নি। যে জায়গা থেকে নির্যাতিতাকে গাড়িতে তোলা হয়েছিল এবং যে জায়গায় তাঁকে নামানো হয়, তা চিহ্নিত করে ছবি তোলা হয়নি। ফরেন্সিক রিপোর্টও ঠিকঠাক আসেনি। বিচারকের পর্যবেক্ষণ, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। আইনজীবী এই ঘটনায় আরও তদন্তের দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে সিনিয়র অফিসারের নজরদারিতে আরও সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হোক।

এই রায়ের পরে নির্যাতিতা নিজের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানিয়েছেন। এই রায়ের পরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.