সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে উত্তাল সমুদ্র। দুর্ঘটনা এড়াতে তাই দিঘার সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন। কিন্তু কে শোনে কার কথা? সোমবার সকাল থেকে নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই দিঘাসহ অন্যান্য সৈকতে সমুদ্রস্নানে নামলেন অত্যুৎসাহী পর্যটকরা। অঘটন এড়াতে বেলা বাড়তে তৎপরতা শুরু করে পুলিশ।
বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপ ওড়িশা উপকূ দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করেছে। তবে বাতাসের গতি না কমায় এখনো উত্তাল সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ায় জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। অঘটন এড়াতে দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকতগুলিতে রবি ও সোমবার সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল প্রশাসন। রবিবার সমুদ্র প্রচণ্ড উত্তাল হওয়ায় স্নানে নামার চেষ্টা করেননি কেউ। সোমবার সকালে পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসতেই সৈকতে সমুদ্রস্নানে নেমে পড়েন ঝাঁকে ঝাঁকে পর্যটক।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
খবর পেয়ে সৈকতে টহলদারি শুরু করে পুলিশ। পর্যটকদের হোটেলে ফিরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশের তাড়া খেয়ে হোটেলের পথ ধরেন তাঁরা।
প্রতি বছরই দিঘার সৈকতে সমুদ্রস্নানে নেমে মৃত্যু হয় পর্যটকদের। মৃতদের প্রত্যেকেই প্রায় উঠতি যুবক। প্রশাসনের তরফে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার পরও নিয়ম ভাঙার প্রবণতার জেরে এড়ানো যায় না মৃত্যু। বেনিয়মের সেই প্রবণতা দেখা গেল সোমবারও।