বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপর হামলা চালানোর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন থানার সামনে বিক্ষোভ করবে বিজেপি। এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, ভয় দেখিয়ে হিংসা করে জেতার চেষ্টা করছে বলে নিশানা করেন তৃণমূলকে। তিনি আরও বলেছেন, আজকে আমরা যাব নির্বাচন কমিশনে। আমি গতকাল অনলাইনে অভিযোগ জানিয়েছি। হাসপাতালে গিয়ে মেডিক্যাল রিপোর্ট করিয়েছি। যদি মানুষ লোকসভার মতো ভোট দিয়ে দেন তাহলে আমরা জিতব। আরও তা দেবেও মানুষ। সেন্ট্রাল ফোর্স থাকবে বুথে-বুথে। কমিশনও দেখবে বিষয়টি। বোম মেরে বাড়ি ভেঙে দেওয়া ছাড়া কিছু করেননি। কয়েকবছর ধরে চলছে। গতকালকে আমাদের সমস্ত গাড়িতে বোম মেরেছে। আমরা আর থেমে থাকবো না।’
State of democracy in Paschim Banga is pathetic. TMC goons carrying TMC flags hurled crude bombs on my vehicle and shattered my vehicle’s window. They also assaulted multiple karyakartas of BJP and also vandalised multiple cars. Police men were seen retreating. pic.twitter.com/x7GlRvd0q0
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP)
প্রসঙ্গত, বুধবার শীতলকুচিতে অল্প সময়ের ব্য়বধানে সভা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দিলীপ ঘোষের। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে ফেরার পথে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা শীতলকুচি কলেজের মাঠে বিজেপি সমর্থকদের উসকানি দিয়েছিল। ফলে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বেধে যায়। শুরু হয় ঢিল ছোড়াছুড়িও। এরপরই রাস্তার দুইপাশে জড়ো হয়ে যান তৃণমূল সমর্থকরা। দিলীপ ঘোষের সভামঞ্চ পড়ে যায় মাঝখানে। সেইসময়, প্রাণভয়ে সেখানে দিলীপ ঘোষকে রেখে সাংবাদিক ও বিজেপি কর্মীরা গিয়ে পাশের একটি বাড়ির ছাদের নিচে গিয়ে লুকিয়ে পড়েন। ভাঙচুর করা হয় দিলীপ ঘোষের কনভয়ে থাকা ১০-১২টি গাড়িতে। তাঁর মাথাতেও ইটের আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ তোলেন দিলীপ। হামলার পর তিনি জানিয়েছেন, এমন আক্রমণ আগে দেখিনি। এ তো তালিবানি রাজ্য চলছে। এভাবে চললে কীভাবে নির্বাচন হবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন দিলীপ।
কোচবিহারের শীতলকুচিতে দিলীপ ঘোষের উপর হামলার ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। চতুর্থ দফা ভোটের আগে বুধবার উত্তরবঙ্গে ফের হামলার মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির গাড়ির উপর হামলা চালানো হয়। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে।