বছর শেষে এক দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ৩০ ডিসেম্বর, শুক্রবার তাঁর কলকাতায় আসার কথা। ওই দিন হাওড়া স্টেশন থেকে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করার কথা মোদীর। শুধু তাই নয়, জাতীয় গঙ্গা পরিষদ (ন্যাশনাল গঙ্গা কাউন্সিল)-এর বৈঠকেও তাঁর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর শুক্রবারের কর্মসূচির একটি তালিকা প্রকাশ্যে এসেছে।
ওই তালিকা অনুযায়ী, শুক্রবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন মোদী। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে মোদী পৌঁছবেন রেস কোর্সের মাঠে। সেখান থেকে গাড়িতে সোজা হাওড়া স্টেশন। রাজ্যের প্রথম ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের সূচনা তাঁর হাতেই সেখানে হওয়ার কথা। হাওড়া থেকে ‘বন্দে ভারত’ যাবে নিউ জলপাইগুড়ি। সেই ট্রেনের সূচনা পর্ব সেরে মোদীর পরের গন্তব্য গার্ডেনরিচে ভারতীয় নৌসেনার পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয়। সেখানে তিনি নেতাজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানেই ‘নমামি গঙ্গে’ এবং ‘ডিডব্লিউএস’-এর একটি প্রদর্শনীতে তাঁর হাজির থাকার কথা।
এর পর প্রধানমন্ত্রীকে অভিবাদন জানানোর কথা ভারতীয় নৌসেনার তরফে। ‘নমামি গঙ্গে’র কাজ কেমন চলছে তা-ও খতিয়ে দেখার কথা মোদীর। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যাওয়ার কথা জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠকে। শেষ বার ২০১৯-এর ডিসেম্বরে কানপুরে গঙ্গা পরিষদের বৈঠক হয়। সে বার পশ্চিমবঙ্গ আর ঝাড়খণ্ড অনুপস্থিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ওই পরিষদের সভাপতি। পরিষদের সদস্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেই বৈঠকে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এর পর দুপুরের আহারাদি সেরে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
মোদীর এ বারের সফর একেবারেই অরাজনৈতিক। এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। তাই এ সকল কর্মসূচিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে জানা গিয়েছে। রাজ্য বিজেপির তরফে একটি সভায় প্রধানমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সফরে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকা মোদীর পক্ষে সম্ভব নয়।