করোনা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi )। করোনা টিকাকরণ কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপে প্রতিষেধক নিচ্ছেন নমো। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও করোনার প্রতিষেধক পাবেন। গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচি। সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন-এই দুই টিকা ভারতে প্রদান করা হচ্ছে।
প্রথম পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে থাকা প্রথম সারির যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তি ও যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীদের বয়স পঞ্চাশের বেশি। ফলে দ্বিতীয় ধাপে তাঁদের টিকা নিতে কোনও বাধা নেই।
প্রসঙ্গত, করোনার টিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুজব রটছে বলে খবর মিলেছে। এই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা নিয়ে গুজব ছড়ানো ঠিক নয়’। এই পরিস্থিতিতে নিজে যেভাবে করোনার টিকা নিতে এগিয়ে এলেন নমো, তাতে ভ্যাকসিনের বিষয়ে দেশবাসী অনেকটাই আস্থা পাবেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
দেশে করোনার টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনাকালে প্রধানমন্ত্রী দেশের বৈজ্ঞানিক এবং গবেষকদের কৃতজ্ঞাতা জানান। তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন তৈরি হতে অনেক সময় লাগে। কিন্তু দেশের বৈজ্ঞানিকরা দিন-রাত এক করে পরিশ্রম করেছেন। ওঁদের প্রশংসা প্রাপ্য। ৩ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে ভারত সরকার বিনামূল্যে টিকা দেবে। করোনা বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া কর্মীদের আগে টিকা দিয়ে দেশ ঋণ শোধ করবে। দ্বিতীয় দফায় ৩০ কোটি মানুষ টিকা পাবেন। ধীরে ধীরে সব দেশবাসীকেই টিকা দেওয়া হবে।’
একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ রয়েছে। এক মাসের মধ্যেই এই দুটি ডোজ নিতে হবে। ভ্রান্তির কোনও স্থান নেই। প্রথম ডোজ দু’সপ্তাহের মধ্যেই কাজ করবে। আপনারা করোনার সময়কালে ধৈর্য দেখিয়েছিলেন, টিকা দেওয়ার সময় সেই একই ধৈর্য প্রদর্শন করুন।’
টিকাকরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘কোউইন’ অ্যাপটি। প্রতিষেধক নেওয়ার আগে তাতে নাম এবং পরিচয় নথিভুক্ত করতে হচ্ছে প্রাপকদের। প্রতিষেধক নেওয়ার পর কোনওরকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি-না, তাও এই অ্যাপে নথিভূক্ত করা যাবে। কত ডিগ্রি তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যাবে সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যও মিলবে কোউইন-এ।