‘লেট দ্য ফেস্টিভ রিদমস এমব্রেসড এভরিওয়ান’! স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর বার্তা! আজ, রবিবার সকালেই এক্স হ্যান্ডেল থেকে একটি পোস্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেছেন–নবরাত্রি আসছে, আর আমি খুবই খুশি যে, আমি গত কয়েক সপ্তাহে লেখা একটি গার্বা আমি শেয়ার করতে পারছি।
গার্বা বা গার্বো গুজরাটের খুব প্রাচীন সংস্কৃতি। নবরাত্রি পালনের সঙ্গে এটি যুক্ত। প্রধানমন্ত্রীও তাঁর পোস্টে নবরাত্রির উল্লেখ করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই পোস্টেই প্রধানমন্ত্রী মিউজিক্যাল ডুও মনমিত ও হরমিত সিংকে–যাঁরা ‘মিটব্রস’ নামে পরিচিত–এবং সংগীতশিল্পী দিব্য কুমারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গতকালই জানা গিয়েছিল, নবরাত্রির গান লিখেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তনিষ্ক বাগচী এবং ধ্বনি ভানুশালীর জন্য গীতিকার হলেন তিনি। খবরটি এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। ওই গানটিও ছিল ‘গার্বো’ বা ‘গার্বা’। গতকাল শনিবার গানটি প্রকাশিত হয়েছে। কঙ্গনা রানাউত জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর গান লেখার এই বিষয়টি দারুণ ‘ইনস্পায়ারিং’।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর লেখা ‘গার্বো’ বা ‘গার্বা’টি গেয়েছিলেন তনিষ্ক বাগচী এবং ধ্বনি ভানুশালী। তাঁরাও মোদীর এই গান রচনা নিয়ে খুব উল্লসিত ছিলেন। ধ্বনি ভানুশালী সমাজমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লিখেওছেন, ”ডিয়ার @নরেন্দ্রমোদী জি, তনিষ্ক বাগচী এবং আমি আপনার লেখা গানটি গেয়ে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আমরা দুজনেই চেয়েছিলাম একেবারে নতুন ছন্দে, নতুন শব্দে ও নতুন ধাঁচে কিছু একটা করি। ‘জাস্ট-মিউজিকে’র কল্যাণে সেটা সম্ভব করতেও পেরেছি শেষ পর্যন্ত!” ধ্বনি ভানুশালীর ওই পোস্টের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীও। মোদী লিখেছেন, ”ধ্বনি, তনিষ্ক বাগচী এবং ‘জাস্ট-মিউজিকে’র টিমকে ধন্যবাদ। বেশ কয়েকবছর আগে গানটি লিখেছিলাম। গানটি এখন আমাকে বেশ স্মৃতিকাতর করে তুলল। অনেকদিন ধরেই আর কিছু লিখতে পারি না। তবে, সম্প্রতি আমি নতুন একটি গার্বো লিখতে পেরেছি। সেটা আগামী নবরাত্রিতে প্রকাশ করব…”
আর এই পুরো বিষয়টি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন কঙ্গনা রানাউত। তিনি লেখেন, কী অটলজির কবিতা, কী নরেন্দ্রমোদীজির গান– দুইই অপূর্ব। আমাদের দেশের এই সব বীর সন্তানদের যখন শিল্পসংগীতকলার সৌন্দর্যেও ডুবে যেতে দেখি তখন আমাদের হৃদয় ভরে ওঠে।